চিকিৎসক ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডা. শান্তনু সেন এবার হাইকোর্টের শরণাপন্ন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিদেশি ডিগ্রি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল তাঁর চিকিৎসা রেজিস্ট্রেশন দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড করে। তবে সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি পেয়েছেন তিনি।
advertisement
বর্ষায় তরতরিয়ে বাড়বে ধনেপাতা! বাড়িতেই টবে ফলাবেন কীভাবে? মাটিতে মেশান স্রেফ এই ২ জিনিস!
বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, সোমবার শুনানি হবে শান্তনু সেনের আবেদন নিয়ে। শান্তনুর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, এই সিদ্ধান্ত তাঁকে জানানো হয়নি, সংবাদমাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তাঁকে ডাকলেও, তাঁর দেওয়া জবাব নথিভুক্ত করা হয়নি। এমনকি ২০১৯ সালে গ্লাসগো থেকে পাওয়া তাঁর সাম্মানিক স্বীকৃতিও বিবেচনায় আনা হয়নি বলে দাবি তাঁর।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর সময় শান্তনুকে ডাকেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলেই দাবি করেন কাউন্সিল সভাপতি সুদীপ্ত রায়। অভিযোগ, শান্তনু দীর্ঘদিন ধরে একটি বিদেশি সাম্মানিক ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
শান্তনু সেন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কাউন্সিল প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই পদক্ষেপ করেছে। তাঁর দাবি, ওই ডিগ্রি ছিল সাম্মানিক (FRCP), যার জন্য রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন পড়ে না।
তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছেন, কিন্তু সেটিও ফেরত দেওয়া হয়নি।
তৃণমূলের আর এক চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি অবশ্য বলেন, “শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা সঠিক সিদ্ধান্ত। দল থেকেও ওঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। উনি যাঁকে আক্রমণ করছেন, তিনি আমাদের দলের নেতা।”