বেশ কিছু লিংক পাওয়া গিয়েছে সেটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে যাচ্ছে। কেস ডায়েরিতে একাধিক নাম রয়েছে যা দেখলে চমকে যাবেন, এমনই দাবি করেছে ইডি। Ed আইনজীবীর চাঞ্চল্যকর আবেদন, শান্তনুর সম্পত্তি বোঝাতে গিয়ে বলেন, পুরুলিয়া ছোট্ট টিলা থেকে মাউন্ট এভারেস্ট এ চলে গিয়েছে, সম্পত্তি পরিমান। Ed আইনজীবি আবেদন, ২০১৫ সালে শান্তনুর মোবাইল শপ ছিল ছোট্ট। সেখান থেকে রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, কোম্পানি, জমি, হোটেলে, হোম স্টে।
advertisement
কোথা থেকে পেল? বেআইনি ভাবে নিয়োগ থেকে টাকা এসেছে? নাহলে এত সম্পত্তি কীভাবে?শান্তনু একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি উনি। পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার দু'জনকে পোস্ট করে রাখতেন বাড়িতে । বুঝতে পারছেন কতটা প্রভাবশালী? বাড়িতে রেইডের সময়ও পোস্টিং ছিল। কতটা প্রভাবশালী বুঝতে পারছেন? বাংলাদেশ, পাকিস্তান টেরোরিস্টদের মামলা শোনে যিনি এনআইএ জাজ-এর একজন pso থাকে। এতটা প্রভাবশালী শান্তনু সেক্ষেত্রে দুজন pso। কী এমন থ্রেট ছিল? ২ জন pso কতটা প্রভাবশালী তিনি বুঝুন।Ed আইনজীবী আবেদন কোম্পানি বিষয়ে বলছেন যে শান্তনু জানেনা। উনি জানেন সব। উনি তো স্টেটমেন্ট দিয়েছেন শান্তনু বলেছেন তার স্ত্রী সিগনেটারি, শুধু অর্থাৎ সই করেছেন। যা করেছি আমি করেছি। স্টেটমেন্ট দেখলে বোঝা যাবে। কোন টা সঠিক? দুটো conflict করছে। Ed তদন্তকারী অফিসার ফাইল নিয়ে বিচারকের কাছে যান। Ed তরফে ১১ দিনের ed হেফাজতের আবেদন করা হয় ।
পাল্টা শান্তনুর আইনজীবীর জামিনের আবেদন। ইডি হেফাজতের বিরোধিতা করে। সাবমিশন অনুসারে ২০১৪ টেটের বেআইনি নিয়োগে যুক্ত ছিল বলে দাবি ইডির। ইডি দাবি তদন্তকে মিসলিড করছেন শান্তনু। কি করে মিসলিড এর কথা বললেন? সওয়াল শান্তনুর আইনজীবীর। শান্তনু আইনজীবী আবেদন, ৬ বার ইডি অফিসে গিয়েছেন শান্তনু। সহযোগিতা করেছেন। ৭ তম বারে তাঁকে ইডি গ্রেপ্তার করে।এর আগে ৬ বার যখন ডাকলো তখন কিছু পেলো না কেন? তখন ছেড়ে দিল। ৬ দিনে কী পেল?
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট পরীক্ষা করেন TTE ও TC, দুজনের পার্থক্য জানেন? ৯৯% মানুষ জানেন না
ডকুমেন্টস ও ল্যান্ডেড প্রপার্টি, আই ফোন এগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে আগেই। ব্যালান্স শিট দেখলে বোঝা যাবে। কারণ শান্তনু সম্পত্তি নথি ed কাছে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট সব রয়েছে ed কাছে। তাহলে সেটা মিলালেই বোঝা যাবে। শান্তনু কোন জায়গা থেকে কিনেছে, টাকা সোর্স সেখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যাবে। শান্তনু কি করে অসহযোগিতা করলাম?প্রপার্টি সব ডকুমেন্টস প্রথম দিন থেকে ed কাছে। আসলে অন্ধকারে পুরো ইনভেস্টিগেশন। সিজার লিস্টে দলিল ও তাঁর নম্বর সব লেখা। Ed ভূমি বা সম্পত্তি নথি সব তাদের কাছে। ৭ তম দিনে ১২ ঘন্টা বসিয়ে গ্রেফতার। ব্যালান্স শিট, আইটি ফাইল নিয়ে গিয়েছিলো শান্তনু। ২০২৩ ব্যালান্স শিট নিয়ে গিয়েছিলো, ব্যাংক স্টেটমেন্ট রয়েছে। তাহলে অসহযোগিতা কীভাবে? নথিতে সোর্স লেখা।কোম্পানি রেস্ট্রুরেন্টএর It, আইটি riturn সব আছে।
আরও পড়ুন: লটারি কাটেন নিয়মিত? কী পরিণতি হতে পারে, করিমপুরের ঘটনা শুনলে ভয়ে কাঁপবেন, সব শেষ হয়ে গেল
স্ত্রী কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর। তার মধ্যে রয়েছে বুটিক, কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, রেস্ট্রুরেন্ট রয়েছে। এর সঙ্গে শান্তনুর কোনো যোগ নেই। শান্তনু স্ত্রী ডিরেক্টর।শান্তনুকে ৬ বার ডাকা হল। প্রথম দিন arrest করল না, দ্বিতীয়, তৃতীয় দিন arrest করল না কেন?বিচারক শান্তনুর আইনজীবীকে বলেন, যে কোনো দিন arrest করতে পারে। সেটা জন্য এজেন্সী বাউন্ড নয় প্রথম দিনেই করতে হবে।বিচারক জিগ্যেস করেন, কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার আছে? শান্তনু আইনজীবী জানান একটায় আছে।এই কদিনে কি পেলো তদন্ততে? যে আবার কাস্টডিতে চাইছে ed?তাপস ও কুন্তলের স্টেটামেন্ট অনুসারে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারক শান্তনু আইনজীবীকে বলেন, আরো লোক তো গ্রেফতার হত। নিশ্চয়ই কিছু ইনভল্ভমেন্ট পেয়েছে তাই গ্রেফতার। অনেকের নাম তো আসছে।তাদেরকে কি গ্রেফতার করেছে?কিছু নিশ্চ্য়জই পেয়েছে। শান্তনুর আইনজীবী আবেদন, Ex tmc ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছে। উনি পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে যুক্ত নয়। উনি একজন ব্যবসায়ী। বিচারক জানান, ওখানে উল্লেখ দুর্নীতির নেতা। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।