আরও পড়ুন-রাশিফল ৩ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
শালিমার স্টেশন রেল ইয়ার্ড হিসাবেই পরিচিত ছিল। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল শালিমারের। যার জন্য, প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩৪৫ কোটি টাকা। কালেভদ্রে দু-একটা ট্রেন ছাড়ত। সেই শালিমার স্টেশনের (Shalimar Station) এবার চেহারা বদলে যাচ্ছে। এখানে তৈরি হচ্ছে তিনতলা স্টেশন বিল্ডিং। বিমানবন্দরে যেমন থাকে, সেরকমই পরিকাঠামো থাকবে শালিমারে। শালিমারের সবচেয়ে বড় সুবিধা, ভৌগলিক অবস্থান। গঙ্গার পারে হওয়ায় লঞ্চ করেও যাত্রীরা সহজেই স্টেশনে পৌছতে পারবেন। তার জন্য তৈরি হচ্ছে জেটি।
advertisement
জেটি যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানেই সাবওয়ের এন্ট্রি পয়েন্ট। সাবওয়ের মধ্যেই থাকবে এসকালেটর। চলমান সিঁড়ি বেয়ে যাত্রীরা সোজা ঢুকে পড়তে পারবেন প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মে গা ঘেঁষে গড়ে উঠছে তিনতলা ঝাঁ চকচকে স্টেশন বিল্ডিং। তারমধ্যে টিকিট কাউন্টার-রেস্তোঁরা, যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা সবই থাকছে। যাত্রীরা যাতে সহজেই শহরে ঢুকতে পারেন তারজন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করছে রেল। লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর তৈরি হচ্ছে রেলওয়ে ওভারব্রিজও। যা ধরে দ্রুত পৌছে যাওয়া যাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে।
হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমাতেই সুবিশাল এই কর্মকাণ্ড। যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি রেল ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও হবে এখানে। তার জন্য অফিস বিল্ডিংয়ের গা ঘেঁষে থাকছে পিট সাইটিং। জোরকদমে কাজ শুরু হয়েও। তা থমকে যায়। অনেকেই বলছেন অর্থের অভাবে সেই কাজে ভাটা এসেছিল। ফের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় সেই কাজে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। রেল সূত্রে খবর, আগামী দু'বছরের মধ্যে বদলে যাবে শালিমার স্টেশন।