সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে সম্প্রতি এই আন্দোলনের কথা ঘোষণা করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাস্তায় নামে ছাত্রসংগঠনগুলি। এসএফআই-এর তরফেও লাগাতার কর্মসূচি চলে। কিন্তু এবার মাতৃভাষায় পড়াশুনোর দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে সংগঠনের নেতা-কর্মী সমর্থকেরা। নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র বিশেষ কোনও ভাষায় দখল না থাকলে কোনও ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করতে পারবে না, এটা ঠিক নয়। মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ থাকলে যে-কোনও ছাত্র-ছাত্রী যে-কোনও বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। এর ফলে একদিকে যেমন সেই ছাত্র-ছাত্রীর পঠনপাঠনের অনেকটা বড় দিক খুলে যাবে, ঠিক তেমনি প্রত্যেকের মাতৃভাষা প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।
advertisement
অনেক সময় বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভারতের মত দেশে ইংরেজি এবং হিন্দির বহুল প্রচলনের জন্য অনেক ভাষা ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে আসছে। তাই সেই সব ভাষাগুলির বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে। সরকারি কাজকর্মের জন্যও আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে অনেক সময় অনেক সরকারি কাজে সেই অঞ্চলের ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে এবার পাঠ্যসূচিতেও মাতৃভাষার ব্যবহার আরও বেশি বেশি করলে সেই উদ্দেশ্য আরো সফল হবে বলে মনে করে ওয়াকিবহুল মহল।
সংগঠনের রাজ্য কমিটির এক সদস্যের কথায়, ” কেউ যদি ইতিহাস ভূগোল বা কোনও পেশাদারী পড়াশোনা করতে চায়, সেক্ষেত্রে সে তাঁর মাতৃভাষায় করলে সমস্যা কোথায়? শুধুমাত্র বিশেষ কোনও ভাষা না জানলে সেই সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যাবে না, এটা ঠিক নয়। বরং যে ছাত্রছাত্রী যে ভাষায় সচ্ছল-স্বচ্ছন্দ, সেই ভাষাতেই যদি লেখাপড়া করতে পারে, তাহলে তাঁর পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়বে।”