#নয়াদিল্লি: শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে ফের উতপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নামও জড়িয়েছে। গত বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীও (Paresh Adhikary) সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন।
ববিতা সরকারের অভিযোগেই শুরু হয় এই পর্ব
ববিতা সরকার এসএসসি চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং তালিকায় ২০ নম্বর স্থানে ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন। সেই অনুসারে তিনি আশা করেছিলেন, এ বারে তাঁর চাকরি হতে পারে। তবে হঠাৎ করেই দেখা যায় যে ওয়েটিং লিস্টে তাঁর নাম ২০ থেকে নেমে ২১ নম্বরে পৌছে গিয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikary) সেই স্থান দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - মেয়ে-জামাইয়ের জন্য মাংস আনতে বলেছিলেন স্ত্রী, রাগের চোটে স্বামী যা করলেন, তা দেখে চমকে যেতে হয়
নিউজ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ববিতা জানান, তিনি শুধুমাত্র নিজের যোগ্যতায় তাঁর চাকরিটি পেতে চান এবং এর জন্য তিনি শেষ অবধি লড়াই করে যাবেন। ববিতার বক্তব্য, ‘এখন ন্যায়বিচার হচ্ছে ঠিকই তবে আমি ভাল নেই। আমি শুধুমাত্র আমার প্রাপ্য চাকরিটাই চাইছি। গত পাঁচ বছর ধরে নিজের অধিকারের চাকরি পেতে আমাকে পিলার থেকে পোস্ট অবধি ছুটে বেড়াতে হয়েছে। অথচ চোখের সামনে দেখেছি কত সহজেই কেউ প্রভাব খাটিয়ে সেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।’
আরও পড়ুন -অস্বস্তিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রক্ষাকবচ দিল না আদালত, মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর সুপারিশও বহাল
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে ববিতা জানান, ‘আমার ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে নাম ছিল, হঠাৎই দেখি সেখানে আমার বদলে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি দেওয়া হয়। অথচ তিনি ভাই-ভায় অংশ নেননি। এমন কী, অঙ্কিতার স্কোর (৬১) আমার থেকে (৭৭) অনেকটাই কম ছিল। এমন ঘটনা আরও অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে’।