উন্নয়নমূলক কাজের প্রধান দিকসমূহ হল –
✔ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরনো পয়েন্ট প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা ট্রেন চলাচল আরও মসৃণ ও কার্যকর করবে।✔ প্রচলিত ৫২ কেজি রেলের পরিবর্তে ৬০ কেজি রেল বসানো হয়েছে, যা ট্র্যাকের শক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করবে এবং ট্রেনের গতি আরও বাড়াবে।✔ নতুন ট্র্যাক পরিকাঠামো মসৃণভাবে স্থাপন করার জন্য ভূমি সংশোধন করা হয়েছে, যা ট্রেন চলাচলের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।✔ অত্যাধুনিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নতুন পরিকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
advertisement
উন্নয়নের প্রধান সুবিধাসমূহ:
✔ সিগন্যাল ব্যর্থতার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে, যার ফলে ট্রেন চলাচল আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে।✔ আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা, উন্নত ট্র্যাক ও পয়েন্ট প্রযুক্তি যাত্রীদের জন্য বিলম্ব এবং ব্যাঘাত কমিয়ে আনবে।✔ ভারী রেল ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পাবে, ফলে যাত্রার সময় কমে যাবে।✔ ট্রেন চলাচলের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে, ফলে যাত্রীরা আরও সুবিধাজনক ও সময়ানুবর্তী পরিষেবা উপভোগ করবেন।
আরও পড়ুন : কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা কোন কোন জেলায়? দেখে নিন
শিয়ালদহ বিভাগের ডিআরএম দীপক নিগম বলেন,”হালিশহর-নৈহাটি সেকশনের এই উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিরাপত্তা ও দক্ষতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি। ভারী রেল, আধুনিক পয়েন্ট প্রযুক্তি ও ভূমি উন্নয়নের ফলে ট্রেন চলাচলের গতি ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, সিগন্যাল ব্যর্থতার ঝুঁকি কমে যাওয়ায় যাত্রীদের বিলম্বের সম্মুখীন হতে হবে না।” উল্লেখযোগ্যভাবে, এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগে সম্পন্ন করা হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট দলগুলোর কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি।
যাত্রীদের ধৈর্য ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে শিয়ালদহ বিভাগ এবং কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে যাত্রীরা এই উন্নয়নের সুফল উপভোগ করবেন।