ইতিমধ্যেই স্টেশন পরিদর্শন করেছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা ও কেএমআরসিএলের এমডি সহ শীর্ষ কর্তারা৷ জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এই প্রকল্পের বিষয়ে সব ধরণের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। রেল মন্ত্রকও যোগাযোগ রাখছেন আমাদের সঙ্গে। আশা করছি শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।"
advertisement
জানা যাচ্ছে, আগামী মাসের এই রুটে পরিষেবা শুরু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। সেই মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ।একদিকে ফুলবাগান উলটোদিকে এসপ্ল্যানেড। দুই স্টেশনেরই দূরত্ব দু’কিলোমিটারের বেশি। যে কারণে শিয়ালদহ থেকে একটা স্টেশন যেতে গেলেও খরচ হবে দশ টাকা। সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত যেতে খরচ হবে ২০ টাকা। মেট্রোর ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী প্রথম দু’কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া পাঁচ টাকা। তারপর দুই থেকে পাঁচ কিলোমিটারের ভাড়া দশ টাকা। শিয়ালদহ থেকে যেহেতু ফুলবাগান স্টেশনের দূরত্ব ২.৩৩ কিলোমিটার এবং এসপ্ল্যানেডের ২.৪৫ কিলোমিটার, তাই এখান থেকে ট্রেনে চাপলেই যাত্রীদের খসবে দশ টাকা।
আরও পড়ুন : বরযাত্রীদের মাঝে ওটা কী? বিয়ের রাতে সুপারহিট চমক বর-কনের
বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠানামার সুবিধার্থে দুটি লাইনের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনে থাকছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম। অর্থাৎ তৈরি হয়েছে আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম। দু’পাশেই বসেছে স্ক্রিনডোর। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ট্রেনের দু’দিক দিয়ে ওঠানামা করার জন্য ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম থাকছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ মনে করছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে শিয়ালদহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে। সেইকারণেই যাত্রীদের ভিড় সামলাতে ও তাঁদের সুরক্ষার কথা ভেবে শিয়ালদহ স্টেশনে বিশেষ প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দোকানে ডাকাতি করেই দুর্দান্ত নাচ শুরু চোরের! CCTV ফুটেজ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল...
যাত্রীর চাপ সামাল দিতে স্টেশনে থাকছে ৯টি সিঁড়ি, ১৮টি এসকেলেটর, ২৭টি টিকিট কাউন্টার।এছাড়াও, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য থাকছে বিশেষ লিফট। লোকাল ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীরা যাতে মেট্রো স্টেশনে চলে আসতে পারেন, সেব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশন চত্বর থেকেই কাটা যাবে লোকাল ট্রেনের টিকিটও।