পাশাপাশি একাধিক ক্লাসরুম করা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করার জন্য। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে এক একটি ক্লাসের জন্য ক্লাস রুমের সংখ্যা বাড়ানো হবে।রাজ্য যা ভাবছে-
১) ধাপে ধাপে স্কুলে আনা হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। অর্থাৎ নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সময় দেওয়া হবে সেই সময়ই একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হবে না। অর্থাৎ এক একটি ক্লাসের সময়সীমা একেক রকম থাকবে। তার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকও থাকবে যাতে পঠন-পাঠনে কোনও সমস্যা না হয়।
advertisement
২) এক একটি ক্লাস রুমে কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস হবে। যাতে ক্লাসরুম গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের একাধিক জমায়াতে না হয়। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি বেঞ্চে একজন করেই ছাত্র-ছাত্রী বসাতে চাইছে রাজ্য। এক একটি ক্লাসের একাধিক সেকশন থাকে। প্রত্যেকটি সেকশনের ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক ক্লাসরুমে ভাগ করা হবে। যাতে একই সাথে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী একটি ক্লাস রুমে বসতে না পারেন।
আরও পড়ুন-বুলেট প্রুফ আবরণ সরিয়ে কাশ্মীরবাসীর মন জয়ের চেষ্টা, সিআরপিএফ ক্যাম্পে রাত্রিবাস অমিত শাহের
৩) অভিভাবকদের থেকে সম্মতি নিয়ে আসতে হবে সেই ছাত্র বা ছাত্রী ক্লাস করতে চায়।
৪) যে অংশগুলির ওপর নির্ভর করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেই অংশগুলি আগে পড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে তার জন্য নির্দিষ্ট করে নির্দেশিকা জারি করতে পারে দুই বোর্ড।
৫) ইতিমধ্যেই ক্লাসরুম গুলি মেরামত-সহ স্যানিটাইজেশন এর কাজ শেষ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা করনা বিধি মানছে না কি সেই বিষয়েও নজরদারির জন্য প্রত্যেকটি স্কুলে দায়িত্ব দেওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সব মিলিয়ে আপাত পাবে এই নিয়মে স্কুল চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সীলমোহর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর চলতি সপ্তাহের শেষে মুখ্য সচিব এই বিষয় নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন।
-সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়