তবে, বুধবার আদালতে যা জানিয়েছে ইডি, তা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেস ডায়েরি হল সেই গোপন গুরুত্বপূর্ণ নথি, যেখানে তদন্তের যাবতীয় অগ্রগতি লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং যেটা শুধু তদন্তকারী সংস্থা আর বিচারকই দেখতে পান। আইনজীবীদেরও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সেই নথি।
আরও পড়ুন: অসম থেকে দিঘায় পর্যটক, তারপর থেকেই কাঁদছে পরিবার! যা ঘটল, বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ
advertisement
বুধবার আদালতে বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবীদের বলতে শোনা যায়, "কেস ডায়েরি দেখে নিন। ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন কী হতে চলেছে। একবার কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্যে বলতে পারছি না। নামগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।" কিন্তু কারা সেই প্রভাবশালী, তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল! বড় দলবদলে মন্ত্রীর গড়েই টালমাটাল পদ্ম শিবির
এদিকে, বুধবার আদালত থেকে বেরোনোর সময় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। তিনি সেগুলির উত্তরও দেন। প্রশ্ন: শান্তনু বাবু evan কোম্পানি কার নামে? শান্তনু: আমার ছেলের নামে। প্রশ্ন: কী কাজ হত এর মাধ্যমে? শান্তনু: পরবর্তী কালে বলব। এখন শুধু দেখার আর শোনার সময়ে। ইডির সওয়াল শেষে শান্তনুকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতর নির্দেশ দেন বিচারক।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক শাসকদলের নেতার। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, প্রভাবশালীদের নির্দেশে যাবতীয় কাজ করেছেন তিনি। আর তাঁর নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ ছিল কুন্তলের ওপর। শান্তনু জানান, কুন্তল এই কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড। শান্তনুর বর্ণিত প্রভাবশালী কারা, তা তাঁকেই জেরা করে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।