যদিও পরে সেই বিষয়ে কুন্তল বলেন, ''আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। আংটি পরার জন্য কেউ প্রভাবশালী হয়, তাহলে সিবিআই-এর লজ্জা হওয়া উচিত। বিজেপি মুখপাত্র আর সিবিআই মুখপাত্র এক।''
আসলে আদালতের সওয়াল জবাবে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করতে চেয়েছিল ইডি৷ ইডির আইনজীবী প্রথমেই আদালতে বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে পার্থবাবুর হাত দুটো দেখাতে বলবেন?’ বিচারক তারপর বলেন, ‘পার্থ বাবু হাত দুটো দেখাবেন? তালু দেখাবেন? রিভার্স সাইড প্লিজ’… তার পর আদালতে ইডির আইনজীবীদের তরফ থেকে বলা হয়, ‘দেখতে পেলেন হাতে আংটি। হেফাজতে থাকাকালীন কোনও অরনামেন্ট পরতে পারেন না বন্দি। উনি এতটাই পাওয়ারফুল (প্রভাবশালী) যে উনি অরনামেন্ট পরে আছেন… এতটাই পাওয়ারফুল!’
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোন, তাতেই স্পষ্ট পরিকল্পনা! পাল্টা ট্যুইট তামিলনাড়ু থেকে
এর পরেই ইডিকে প্রশ্ন করেন, তাঁদের হেফাজতে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে আংটি ছিল কি না৷ ইডি জানায়, না! তার পরেই আদলতের তরফ থেকে প্রশ্ন ওঠে, ‘কী ভাবে সংশোধনাগারে অরনামেন্ট পরে থাকার অনুমতি দিল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। কারা আইন ও জেল কোডে বলা আছে সংশোধনাগারে প্রবেশের সময় অরনামেন্ট খুলে দেওয়া হয়। উনি কতটা প্রভাবশালী তাতেই বোঝা যাচ্ছে… জেল হেফাজতে থাকাকালীন টাকা, গয়না সমস্ত কিছু জেল সুপারের হেফাজতে রাখা হয়ে থাকে। তাহলে উনি কি ভাবে আংটি পরে আছেন?’
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যের কাগজ, এ রাজ্যে মাঝরাতে পোড়ানো কেন হল? বিরাট ষড়যন্ত্র! কী ছিল সেই কাগজে জানেন!
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের প্রশ্ন করে আদালত৷ তিনি কী জানতেন না, সংশোধনাগারে প্রবেশের সময় এগুলো খুলে রাখতে হয়৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি জানতেন না৷ তাঁকে কেউ জানাননি৷ যদিও তারপর আদালত জানায়, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই৷ এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই রীতিমতো কটাক্ষের সুর শোনা যায় কুন্তলের মুখে।