চার্জশিটে নাম থাকার পরেও কেন এসএসসি’র প্রোগ্রামিং অফিসার গ্রেফতার নন, যা নিয়ে বৃহস্পতিবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত কক্ষ উত্তাল হয়ে উঠল। সরাসরি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী ও সঞ্জয় দাশগুপ্ত।
advertisement
শুনানি চলাকালীন সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতে দাবি করেন, এমন কয়েকজন রয়েছেন যাদের নাম নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে রাখা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের এতদিন পরেও কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করল না সিবিআই? এরপরই অপর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী সরাসরি অভিযোগ করেন চার্জশিটে নাম রয়েছে এসএসসির প্রোগ্রামিং অফিসার থেকে একাধিক আধিকারিকের, যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না। কার্যত এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এদিন আদালত কক্ষে তুলকালাম বেধে যায় দুই পক্ষের মধ্যে।
আরও পড়ুন: আপনি কি বুদ্ধিমান? ‘জিনিয়াসদের’ এই ৭ টি অভ্যাস থাকবেই! মিলিয়ে নিন আপনারটি
আরও পড়ুন: ফ্রিজ খুলতেই বোঁটকা পচা গন্ধ…! দেখেই ‘ছিটকে’ গেলেন কর্তারা…! তারপরেই যা ঘটল, চক্ষুচড়কগাছ
এরপরই পাল্টা সিবিআইয়ের ইঙ্গিত চার্জশিটে নাম থাকা কয়েকজনকে মামলায় রাজসাক্ষী করার ভাবনা রয়েছে। দু’তরফের সওয়াল নিয়ে বিচারক জানতে চান সিবিআইয়ের অবস্থান কী ? সিবিআই আদালতে জানায়, সমস্ত অগ্রগতি কেস ডায়েরিতে আছে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে প্রমাণ আছে কি না তা কেউ জানতে চাইছে না, অন্য কেউ গ্রেফতার হল না কেন তা নিয়ে আদালত কক্ষ উত্তাল করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য গ্রুপ ডি মামলায় এদিন আদালতে পেশ করা হয় প্রসন্ন রায় ও সুব্রত সামন্ত রায়কে। যাদের আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। অন্যদিকে নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে তোলা হয় এসপি সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, জীবন সাহা সহ বেশ কয়েকজন এজেন্টকে । যাদের ১৫ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।