পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিদিন ১৫৪ কোটি ৮১ লক্ষ লিটার জল কলকাতায় তৈরি করা হয়। কল খুলে রেখে চলে যাওয়া, লিকেজ হওয়া এসবের কারণে অপচয় হয় ৩৬ কোটি ৬৪ লক্ষ লিটার জল। ফলে যে ১০০ শতাংশ জল উৎপাদন করা হয়। তার ২০ শতাংশ জল এভাবেই নষ্ট হয়ে যায়। এই জল অপচয়ের কারণে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। কলকাতা পুরসভায় কল আছে ২০ হাজার। শহরে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পুরসভার মাধ্যমে জল পায়। এর মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ আছেন যারা প্রতিদিন বাইরে থেকে শহরে আসেন। এর ফলে আগে যেখানে ১৩৫ লিটার করে জল লাগার কথা ছিল। সেটা এখন মাথা পিছু ১৭৫ থেকে ২০০ লিটার হয়ে গেছে। এটাকে যদি ১৩৫ লিটারে বেঁধে রাখা যায় তাহলে ৬ কোটি লিটার জল রক্ষা করা যাবে।
advertisement
শহরের একাধিক জায়গায় জল স্তর কমেছে। সেই জলস্তর শহরের কোথায় কি রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই পুরসভা নানা রকমের কালার কোডেড জোনাল ম্যাপ বানাচ্ছে। লাল, কমলা ও সবুজ ম্যাপ দেখলেই বোঝা যাবে কোথায় জলের পরিমাণ কত রয়েছে। যেখানে জল সবচেয়ে কম সেখানে ম্যাপের রং হবে লাল। যেখানে জল কমতে শুরু করেছে সেখানে কালার কোড হবে কমলা। যেখানে জলস্তর যথাযথ আছে সেখানে কালার কোড হবে সবুজ। জল অপচয় রুখতে গত এক বছর ধরে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। যার মধ্যে আছে বৃষ্টির জল ধরে রাখার ব্যবস্থা। ভাঙা কল সারানো।
পুরসভার গাড়িতে যখন জল ভরা হয় তখন সেটা থেকে যাতে জল নষ্ট না হয় সেটা দেখা। এমন নানা বিষয়। যদিও কোথাও গিয়ে জল অপচয় আটকানোর ক্ষেত্রে সমস্যা আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী বারবার জল সংরক্ষণ নিয়ে সচেতন করেছেন। কে এম সি জল অপচয় রুখতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। সবাইকে হাত জোড় করে বলছি জল অপচয় নয় ৷ মাদ্রাজে থাকলে বুঝতে পারতেন। সেখানে কি খারাপ অবস্থা জল নিয়ে। কলকাতাতেও একই অবস্থা হতে পারে। এখানেও যদি জল বাঁচাতে না পারা যায় তাহলে অবস্থা খারাপ হবে। কলকাতায় বিভিন্ন জোন ভাগ করা হয়েছে। আমরা তা ধরে ধরে প্রচার করব।" ফলে জল সংরক্ষণ দিবসে এটাই এখন চ্যালেঞ্জ পুরসভার কাছে।