লোকসভা ভোটের পর প্রথম বিজেপির বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বুধবার সৌমিত্র খাঁ বললেন, ‘‘এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল। সঠিক দিশা না পেলে দল ফের ‘ফেল’ করবে।’’ পাশাপাশি সায়েন্স সিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এও বলেন, ‘‘দলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে অবিলম্বে সাংগঠনিক রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যর্থদের কেউ পছন্দ করে না, দলের সাংগঠনিক পরিকাঠামোয় নতুনদের জায়গা দেওয়া উচিত।’’
advertisement
আরও পড়ুন- অনুমতি বিতর্ক! আজ CESC অভিযান নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি
দলীয় নেতৃত্বকে সৌমিত্র খাঁর পরামর্শ, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে গ্রাম বাংলায় বেশি করে প্রচার করা উচিত।’’ নেতৃত্বের তরফে সঠিক দিশা না পেলে যে বঙ্গে আগামী দিনে বিজেপি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে তাও কার্যত বুঝিয়ে দেন সৌমিত্র। তবে সৌমিত্র খাঁর ‘ব্যর্থ’-দের কেউ পছন্দ করে না বলতে কাকে ব্যর্থ বলে নিশানা করলেন তা অবশ্য এদিন খোলসা না করলেও এই পদ্ম সাংসদের নিশানায় যে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশই বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৮ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
অন্যদিকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত প্রার্থী অর্জুন সিং রাজভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় রবিবার নিজের দলের নেতৃত্বের একাংশকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘‘শুধুমাত্র ঘরে বসে আর প্রেস কনফারেন্স করে আন্দোলনে নামছি, লড়াই করছি করব বললেই হবে না। নন্দীগ্রামের মত গণ আন্দোলনে নামতে হবে।’’ আর বুধবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে যোগ দিতে এসে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বললেন, ‘‘সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে বলেই তো এই ফল হয়েছে। আগে সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। বিশেষ করে নিচু তলার সংগঠন খুব দুর্বল।’’
দলেরই দুই গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা সৌমিত্র আর অর্জুনের বক্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দল যদি ভাল ফল করত তাহলে আজ এসব কথা উঠত না। একজন প্রার্থীর জেতার বিষয়ে সংগঠনের ভূমিকা ২৫ শতাংশ থাকে। আমরা আগামী দিনে সঙ্ঘবদ্ধভাবে লড়াই করে বাংলায় বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।’’