আগেই সন্দীপ ঘোষের IMA-র সদস্যপদ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছিল FAIMA। IMA-র কলকাতা চ্যাপ্টারের সদস্য সন্দীপ ঘোষ। সংগঠনের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতেই এই পদক্ষেপ করা জরুরি বলে দাবি FAIMA-র।
এদিকে, আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য থেকে জেলা স্তরের হাসপাতালে অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিকাঠামোর অডিট করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। বুধবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
advertisement
২২ অগাস্ট আরজি করের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিন একটি বৈঠক করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বুধবারের বৈঠকে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশ, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জেলা হাসপাতালগুলিতে গিয়ে অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে হবে। নিরাপত্তার খামতিগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিবিআই-এর কাছে সন্দীপের ১২ দিন পার, তদন্ত কতদূর? চমকে দিয়ে আজ কার হবে পলিগ্রাফ টেস্ট?
শুধু তাই নয়, প্রত্যেক হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের নাইট ডিউটি চলাকালীন হাসপাতালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। হেল্প লাইন নম্বর 112 স্বাস্থ্যকর্মীদের আপৎকালীন প্রয়োজনে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হল।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যগুলির নিজস্ব যে আইন রয়েছে, তা কঠোরভাবে বলবতের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। সব হাসপাতালে বাধ্যতামূলকভাবে নাইট পেট্রলিং করতে হবে নিরাপত্তারক্ষীদের। হাসপাতালে কর্তব্যরত নিরাপত্তা রক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীদেরও রুটিন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং সিকিউরিটি চেক করতে হবে।
প্রত্যেক হাসপাতলে রাজ্য প্রশাসন অনুমোদিত সংস্থা থেকে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করতে হবে। হাসপাতালের প্রত্যেক অংশে সিসিটিভি নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক হাসপাতালে সিসিটিভি মনিটরিং তথা কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে। হাসপাতালে কোনও ধরনের আপৎকালীন কল (Distress call) এলে এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব থাকবে নিরাপত্তা কর্মী বা প্রশাসনকে সতর্ক করার।
হাসপাতালের অভ্যন্তরে রোগীর পরিজনদের সংখ্যা কমাতে রোগীর সহায়তার জন্য হাসপাতালে নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে যে কোনও জায়গায় যাতে বহিরাগতরা পৌঁছতে না পারে, তার সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামো এবং ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্রত্যেক হাসপাতালে সিনিয়র এবং জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তারদের নিয়ে Security and Safety committe গঠন করতে হবে।
