আরও পড়ুন- সস্তার এই ‘পাতা’র হাজার গুণ! মোমের মতো চর্বি গলে, পালায় ক্যানসার! দূরে থাকে ‘স্ট্রেস’
শুক্রবার সন্দীপ এবং অভিজিতের গ্রেফতারির ৯০ দিনের মাথায় অতিরিক্ত চার্জশিট দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিন্তু আদালতে সিবিআই জানায়, তাদের আরও সময় লাগবে। পাল্টা অভিযুক্তদের আইনজীবী সওয়াল করেন, তাঁদের মক্কেলরা ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে হেফাজতে রয়েছেন। এখনও চার্জশিট দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত জামিন মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন- মেয়েটির প্রেমে পড়েছিল সাপ? ৫ বছরে ১১ বার কামড়! শেষে যা জানা গেল…শিউরে উঠবেন
জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, সি বি আই এর উপরে আশা রেখেছিলেন। এদিকে প্রাথমিক চার্জশিটে যে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ছিল, সিবিআই তার চার্জশিট ৯০ দিনও পেশ করতে পারল না।
এই ব্যর্থতার দায় সিবিআইকে নিতে হবে বলেই তাঁরা জানান। সাধারণ মানুষের আবেগ মর্যাদাকে সম্মান দিতে ব্যর্থ সিবিআই, দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।
তাঁরা বলেন, “সিবিআই এর এই চার্জশিট না দেওয়ার ব্যর্থতায় গোটা রাজ্যটা ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হবে।
আমি নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই আন্দোলন যদি নাগরিক সমাজকে ন্যূনতম মানবিকতা বোধ দিয়ে থাকে তাহলে তারা আবারও রাজপথে নামুক। আমরা খুব তাড়াতাড়ি মিটিং করে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাচ্ছি।”
কিঞ্জল নন্দ বলেন, ” আমরা মিছিল করছি, এটা বোঝাতে যে আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথ ছাড়ছি না।” অনিকেত মাহাতো বলেন, “প্রয়োজনে সিজ ওয়ার্ক-এর বিষয়ে আমরা আলোচনা করে দেখব।”
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিসৎককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই মামলাতেই গ্রেফতার করা হয় অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। প্রথমে আর্থিক দুর্নীতি, পরে ধর্ষণ-খুনের মামলা। তারপরেই টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল দুই জনকেই একই মামলায় একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়ায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে।
বিবেক দাস