আরও পড়ুন : বুধবার দিল্লি সফরে দিলীপ ঘোষ, "তাঁকে বঞ্চিত করা হল...", কার প্রসঙ্গে বললেন এমন কথা?
'প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়', টেলিভিশনের ব্রেকিং নিউজে এটা জানার পরে একটা আশ্চর্য নিঃশব্দতা গ্রাস করে রেখেছে লেক গার্ডেন্সের পোস্ট অফিস গলিকে। দো-তলা বাড়ির (Sandhya Mukherjee Residence) গ্রিল দিয়ে হয়ত আবার উঁকি দেবেন তিনি। হয়ত আবার জানলা খুলে, ঠিক উল্টো দিকের ঘরের জানলায় বসে থাকা ছোট্ট পপিকে তিনি (Sandhya Mukhopadhyay Death) বলে উঠবেন, 'না না না, ওই জায়গাটা এই ভাবে করতে হবে।'
advertisement
বাড়ির সামনে জটলা পাকানো মানু্ষগুলি বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না গীতশ্রী (Sandhya Mukherjee Residence) নেই। প্রতিবেশী, সৌরভ সেনগুপ্ত। সকালে ঘুম ভেঙে উঠে চোখ খুললেই তার কানে ভেসে আসত গীতশ্রীর সুর। রোজ সকালের অভ্যাস ছিল। দু'জনেরই। হঠাৎ করে সেই অভ্যাসে একটা পূর্ণচ্ছেদ পড়ে গেল যেন আজ (Sandhya Mukhopadhyay Death)। সৌরভ জানাচ্ছিলেন, "যেদিন অসুস্থ হল সেদিনও জ্যেঠিমাকে দেখতে গেলাম এস এস কে এম হাসপাতালে। রোজ যোগাযোগ ছিল। ওঁর চলে যাওয়া আমার পরিবারের একজন চলে যাওয়ার মতন। আমি জেঠিমা বলে ডাকতাম। সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমি ওঁকে দেখে আসছি। কত গান, কত স্মৃতি আজ আমাদের ভিড় করে আসছে। এমনকি আমার বিয়ে অবধি উনি দিয়েছেন।" গলা বুজে আসে সৌরভের।
আরও পড়ুন : বেলা ১২টা থেকে রবীন্দ্রসদনে থাকবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দেহ, আজই ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী
কিছুদিন আগেও সৌরভের ছেলের সঙ্গে খুনসুঁটি, হাসি, গল্প করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এখন যেখানে লেক গার্ডেন্সের পোস্ট অফিসের গলির পিঠোপিঠি করে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্ল্যাটগুলি আছে। সেখানে আগে একটা মস্ত মাঠ ছিল। সেখানেই ছুটোছুটি করে যাঁরা খেলাধুলা করত তারা আজ বড় প্রতিষ্ঠিত। এদিন তাঁদেরই একজন বলছেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay Death)এই বাড়ি আসলে সুরকার-গীতিকার শ্যামল গুপ্তের বাড়ি বলে পরিচিত ছিল। কত মানুষ এখানে আসতেন। আর এই বাড়ির মজা ছিল জন্মাষ্টমীতে। এই বাড়িতেই মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় থেকে শ্যামল মিত্র সকলকেই দেখেছেন তাঁরা৷ গীতশ্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশের সংস্কৃতি মহল। কিন্তু পাড়ার জেঠিমা, দিদিকে হারিয়ে নিঃস্তব্ধ লেক গার্ডেন্সের পোস্ট অফিস গলি।