পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস সুপ্রিম কোর্টও তাদের রায় সরকারি কর্মচারীদের পক্ষেই দেবে। এই সরকার কর্মচারীদের নিয়ে দুয়ারে সরকারে যাচ্ছে, অথচ তাঁদের বকেয়া প্রাপ্য ডিএ দিচ্ছে না।’’ প্রসঙ্গত, ডিএ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য। শুক্রবার এসএলপি দাখিল করেছে রাজ্য। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-কে ন্যায়সঙ্গত বলে হাইকোর্ট। ডিএ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ অগাস্টের মধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে নীতি রূপায়ন করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘ফিরহাদ হাকিম হলেন ডেঙ্গি মিনিস্টার, ডেঙ্গি চেয়ারম্যান...’ কটাক্ষ দিলীপের
কেন্দ্রীয় হারে কি ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? আইনি লড়াই জারি। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলা গড়ায় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিএ মামলায় রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের রায় খারিজ করে দেয়। বলা হয় মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মচারিদের ন্যায্য পাওনা। ২০১৯ সালে রাজ্যকে ছয় মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ভাতা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২০ সালে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ২০২০ সালে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।