বলাকা বিশ্বাস বলেন, ‘‘গৌতম প্রামাণিক আমার কাছে খাবার নিত না, আমিই খাবার দিতাম একদিন পরিচয় হয়েছিল। তখন জেনেছিলাম উনি পশু প্রেমি৷ ও আমি বলেছিলাম আমি খাবার দিতে না পারলে সেদিন তুই যাস৷ তখন ও বলে কিছু টাকা দিলে ভাল হয়৷ তাই বেতন দিতাম।’’
advertisement
অন্যদিকে গৌতম প্রমাণিকের ছেলে বাবিন প্রামাণিক সন্দেহ ওই এনজিও মালিকের ড্রাইভার শাহ আব্দুল কবীরই তার বাবাকে খুন করেছে। কারণ বাবিনের দাবি প্রায়শই নাকি গৌতম প্রামাণিকের থেকে টাকা ধার চাইত অভিযুক্ত কবির। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগের তির বলাকা বিশ্বাসের দিকেও। তিনি বলেন, ‘‘এখন জানি না ম্যাডাম কারসাজি করে বাবাকে মারল কিনা।’’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বলাকা বিশ্বাসের বাড়িতে পোষ্যদের খাবার দেওয়া ও গাড়ির চালক ছিলেন আব্দুল কবির৷ কোনও একটা ঝামেলা হওয়ার জন্য কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন বলাকা বিশ্বাস পরে এই মৃত গৌতম প্রামাণিককে কাজে নিযুক্ত করেন তিনি। এই রাগেই ১১ তারিখ আব্দুল করিম মহ: সিকেন্দারকে সঙ্গে নিয়ে মারধর করে গৌতম প্রামাণিককে৷ বেকায়দায় মাথার কাছে লাগে। যার ফলে মৃত্যু, পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ধনতেরাসের দিনেই মহাগোচর! ৩ রাশির বৃহস্পতি তুঙ্গে, কুবেরের কৃপায় কপালে শুরু হবে ধনবর্ষা
এমনকি এনজিও মালিক যে পরিমাণ খাবার কুকুরের জন্য দিত তা পুরোপুরি কবির গৌতমকে দিত না বলেও অভিযোগ৷ কবীরের সঙ্গে আরও তিন জন ছিল ১১ তারিখ রাতে বলে গৌতম প্রামাণিকের ছেলে বাবিন প্রামাণিকের অভিযোগ৷ প্রসঙ্গত, মৃত্যু ঠিক কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আরও ভালভাবে বোঝা যাবে বলেই জানাচ্ছেন তদন্তকারী কর্তারা।