তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাসন্তীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে গৌতমের নামে থাকা ওই অ্যাকাউন্টে ২০২২ সাল থেকেই নিয়মিত টাকা জমা পড়ছে। ২০২৩ সালে সেই অঙ্ক বেড়েছে আরও বেশি। তবে ২০২৪ সালে আচমকা টাকা জমার হারে বিপুল বৃদ্ধির সূত্র ধরেই পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। বর্তমানে ওই অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
advertisement
শুধু যাত্রীরা নন, এক বিমানের চাপে শেষ আরও ৩৩ প্রাণ! ভাঙা প্লেনের পিছন থেকেও যা পাওয়া গেল…!
সাদা চাঁদের মতো, নাকি কালো? আপনার নখে রয়েছে এই দাগ? শরীরে কিসের ঘাটতি, জেনে নিন!
কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে গৌতমের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। পুলিশি সূত্রে খবর, বিভিন্ন এজেন্ট ও সাব-এজেন্টদের থেকে টাকা আসত ওই অ্যাকাউন্টে। কখনও অনলাইনে, আবার কখনও সরাসরি অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্টে। এমনকি নগদেও একাধিকবার টাকা জমা দিয়েছেন গৌতম নিজে। অভিযোগ, প্রতিটি ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র তৈরির বিনিময়ে তিনি নিতেন দু’হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা করে।
তদন্তকারীদের দাবি, শুধুমাত্র নিজের উদ্যোগেই নয়, এই পুরো জাল সার্টিফিকেট চক্রে জড়িয়ে রয়েছে আরও একাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় স্তরে এজেন্ট বা সাব-এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। এই মুহূর্তে পুলিশ তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ করছে ও গৌতমের সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
একটা কথায়, মাসিক বেতনের অঙ্ক যেখানে মাত্র তিন হাজার পাঁচশো টাকা, সেখানে গচ্ছিত সম্পত্তির হিসাব সাড়ে তিন কোটি টাকা ছুঁলে, তা যে সন্দেহজনক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই আর্থিক অনিয়মের পেছনে কোন কোন প্রভাবশালী হাত রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।