২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট হলেও। মুর্শিদাবাদে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয় তাদের। সেখানে তৃণমূল জেতে মাত্র ৫২১৪ ভোটে। তৃণমূল কংগ্রেস পায় ২৬.২১% ভোট। কংগ্রেস পায় ২৩.১৬% ভোট। বামেরা পায় ২৩.০৩% ভোট। নির্দল পায় ১৮.৬৭% ভোট। যদিও ২০২১ সালে গোটা রাজ্যেই লড়াই হয় তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপির বিরুদ্ধে৷ সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ৫১.০০% ভোট। বিজেপি পায় ২৪.০০% ভোট৷ কংগ্রেস পায় ১৯.০০% ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ৫০২০৬ ভোটে জেতে।
advertisement
আরও পড়ুন: এলআইসি-এসবিআই নিয়ে সংসদে সুর চড়াতে চলেছে তৃণমূল, নজরে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিও
উপনির্বাচন আর সরকার গড়ার ভোট নয়। ফলে বাম ও কংগ্রেসের যে ভোট তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েছিল তা আবার ফেরত যায়। এমনকি ২০২১ এর তুলনায় ভোট কমে যায় বিজেপির৷ তাই তৃণমূলের চেয়ে প্রায় ১৩% ভোট বেশি পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। এই প্রসঙ্গে তারা উদাহরণ টেনেছেন সমশেরগঞ্জ বিধানসভা আসনের ভোটও৷ যেখানে পরে নির্বাচন হওয়ায় ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময়ের মতই ভোটের জয়ের ব্যবধান ছিল না।
রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছে, প্রার্থী নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরেই৷ অভিযোগ, দেবাশিস বন্দোপাধ্যায় প্রবল ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে। এমনকি, প্রচারে যাওয়া একাধিক নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখায় অনীহা ছিল। এছাড়া, দলের নিচুতলার কর্মীদের কাছে এখনও উনি প্রয়াত সুব্রত সাহার বিরোধী বলেই পরিচিত হয়ে আছেন।
উল্লেখ করা হয়েছে, একাধিক জায়গায় প্রচারে ছিল না তৃণমূলের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন। বিভিন্ন গ্রামে প্রচারে গিয়ে তা নজরে এসেছে অনেকের। কংগ্রেসের এক নেতার গ্রেফতার ভাল চোখে নেয়নি ভোটাররা৷ ওই নেতা যে বুথের ভোটার সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ৮৮% ভোট। ফলে তার জনপ্রিয়তা ছিল। সেটা কেন স্থানীয় নেতৃত্ব আঁচ করে উঠতে পারেননি।
অবশ্যই উল্লেখ হয়েছে, বিধানসভা ভোট মিটে গেলেও নিচুতলার কর্মীদের যোগাযোগ ক্রমশ কমেছে। কোথায় ক্ষোভ রয়েছে। কোন কোন কাজ বাকি রয়েছে তার তালিকাই করে উঠতে পারা যায়নি। তাই উপনির্বাচনে ভরাডুবি বলে মনে করছে দল।
