বিধানসভায় তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে 'ঘরে' ফেরেন সব্যসাচী। আর ফিরেই বলেন, 'দীর্ঘদিন পৌরসভার প্রতিনিধি, মেয়র, দুবার বিধায়ক সবটাই মমতা দি-কে সামনে রেখে পেয়েছি। অন্য দলে যাইনি, এটা বললে মিথ্যে বলা হবে। নিশ্চয় দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই কারণে আবেগতাড়িত হয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আবার মমতা দি আমায় গ্রহণ করলেন। পার্থ দা, ববি (ফিরহাদ) দা গ্রহণ করলেন। আবার আজকে নতুন পথ চলা শুরু হয়েছিল। এবার দল যেভাবে বলবে সেভাবেই চলব।'
advertisement
সাম্প্রতিককালে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি নেতাদের বেসুরো হওয়ার ঘটনা এখন একেবারে জলভাত। তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাবড় নেতারা ফের ফিরে আসতে চাইছেন পুরনো দলেই। বাংলার চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় ফিরে গিয়েছেন পুরোনো দলে। তারপর থেকেই বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্য করে বিজেপির বিড়ম্বনাই বাড়াচ্ছিলেন সব্যসাচী। রাজনৈতিক মহল মনেই করছিল, সব্যসাচীর তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা। গাঁট ছিলেন শুধু সুজিত বসু। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের একেবারে শীর্ষ মহল থেকেই সুজিতের কাছে ফোন যায়। এরপরই বরফ গলে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফিরছেন সব্যসাচী, জানিয়ে দিলেন মমতা নিজেই!
শেষমেশ আজ মুকুল রায়ের হাত ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢুকতে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। বিধানসভায় মমতা বলেন, "আমি আজই ওকে (সব্যসাচী) নিয়ে নিতে বলেছি।" এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পুরনো ঘর তৃণমূলে ফেরেন বিধাননগরের প্রাক্তন বিধায়ক।