সিবিআইয়ের চার্জশিটে প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন–মেডিক্যাল) আখতার আলিকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই আরজি কর দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযোগকারীকেই অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।
advertisement
মায়ের ছদ্মবেশে তিন বছর ধরে পেনশন তুলছিলেন ছেলে! গ্রেফতারের পর সামনে এল বিভীষিকাময় প্রতারণা
আখতার আলির পাশাপাশি শশিকান্ত চন্দকের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দাখিল করেছে সিবিআই। মামলার নথি আদালতে জমা পড়েছে, এবং পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তে জমা দেওয়া চার্জশিটে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ছাড়াও নাম রয়েছে আফসর আলি, বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা ও আশিস পাণ্ডের। পাঁচ জনই বর্তমানে জেলবন্দি।
অভিযোগ, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আরজি কর হাসপাতালে চলেছে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের দাবি, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে একাধিক সময়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ—তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলের হাতে টেন্ডার পাইয়ে দিতেন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর আলিপুর আদালতে এই মামলার প্রথম চার্জশিট জমা করে সিবিআই। চার্জশিটে সন্দীপ-সহ পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তের শুরুতেই সিবিআই সন্দীপকে দফতরে একাধিকবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কয়েক দিন ধরে জেরা শেষেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিপ্লব, আফসার ও সুমনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সর্বশেষে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় আশিসকে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থনৈতিক অনিয়মের এই মামলায় তদন্ত জোরদার করেছে সিবিআই। পরবর্তী শুনানিতে আরও তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
