আরও পড়ুন: সন্দীপের ‘সব’ নাকি দেখতেন…! ইডির আতশ কাচের তলায় সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ‘বিশ্বস্ত’ চিকিৎসক! কে তিনি?
খোলা চিঠিতে তিলোত্তমার মা লিখেছেন, ‘আজ শিক্ষক দিবসে আমি আমার মেয়ের হয়ে ওঁর সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রণাম জানাই। ছেলেবেলা থেকেই ওঁর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আপনারা ছিলেন সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারী। আমরা অভিভাবক হিসাবে পাশে থেকেছি, নিজেও অনেক কষ্ট করেছিল। কিন্তু আমি মনে করি, আপনাদের মত ভাল ভাল শিক্ষকদেরকে সে পাশে পেয়েছিল বলেই, মেয়ে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সফল করতে পেরেছিল।’
advertisement
চিঠিতে মেয়ের স্মৃতিচারণ করে মা লেখেন, “মেয়ে বলত, মা আমার টাকা, পয়সা চাই না, শুধু চাই নামের পাশে অনেকগুলো ডিগ্রি, আর আমি যেন অনেক অনেক রোগীকে ভাল পারি। সেদিন বৃহস্পতিবার ও ঘর থেকে বেরিয়ে হসপিটালে অনেক রোগীকে পরিষেবা দেয় এবং অন ডিউটি অবস্থায় কিছু দুর্বৃত্তদের হাতে বলি হয়। চরম নিষ্ঠুরতাবে তার স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। অধরা থাকে সেই রাতে লেখা তার এমডিতে গোল্ড মডেল পাওয়ার স্বপ্ন।”
চিঠির শেষে নির্যাতিতার মা লেখেন, “একমাত্র কন্যার মায়ের আকুল আর্তি, সকল মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যভবনের কর্তৃপক্ষ, নার্সিংস্টাফ সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনাদের কাছে যদি কোন তথ্য প্রমাণ থাকে তবে সেগুলো সামনে আনুন। কারণ ভাল মানুষের নীরবতা অপরাধীদের সাহস যোগায় বলেই আমি মনে করি। চিকিৎসক সমাজ, এবং সাধারণ মানুষ যে আন্দোলন করছে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবং শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রণাম জানিয়ে মেয়ের সুবিচারের আশায়, তিলোত্তমার মা।”