রেড রোডে বুধবার ৩০-৩৫ মিনিটের অনুষ্ঠান হয় (Republic Day 2022)। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠান ছোট করে আয়োজন করা হয়। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই ট্যাবলো তৈরি করা হয়েছে। সুভাষচন্দ্রের জীবন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকাই এদিন প্রদর্শিত হয়েছে রেড রোডে ৷
advertisement
আরও পড়ুন-নতুন প্রযুক্তির অত্যাধুনিক কোচ, দিঘা-রাঁচি ট্রেন সফর এখন থেকে আরও আরামপ্রদ
এই ট্যাবলো ৫২ ফুট লম্বা, ১১ ফুট চওড়া, ১৬ ফুট উঁচু । ট্যাবলোতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দুটি মূর্তি দেখা যায়। ট্যাবলোর সামনের মূর্তি ‘দিল্লি চলো’র ভঙ্গিমায় রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ছিল দুটি এলইডি দেওয়াল। এর মধ্যে নেতাজির (Netaji) জীবন সংগ্রাম ও আইএনএ নিয়ে তথ্যচিত্র দেখা যায়। এ ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও ছিল। চলতি বছর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তী। পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ট্যাবলো হিসাবে এদিন এটি প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া ট্যাবলোতে রয়েছে একাধিক মণীষীর ছবি। ‘জয়তু নেতাজি’ এই শীর্ষকে বুধবার ট্যাবলো প্রদর্শিত হয় কলকাতার রেড রোডে ৷
আরও পড়ুন: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ‘গোলাম’ নন, তিনি ‘আজাদ’ থাকতে চান, কাকে বিঁধলেন জয়রাম রমেশ ?
প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে কার্যত একটি বিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চিঠিতে লেখেন, এ ভাবে বাংলার ট্যাবলো বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলার মানুষ দুঃখ পেয়েছেন। অন্যদিকে পাল্টা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়ে দেন, ইচ্ছা করে কোনও ট্যাবলো বাতিল করা হয়নি। ট্যাবলো নির্ধারণ করার কয়েকটি নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মেনেই সবটা ঠিক করা হয়েছে। ট্যাবলো নির্বাচন করে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ বারেও প্রস্তাবিত মোট ৫৬টি ট্যাবলোর মধ্যে থেকে ২১টি ট্যাবলো নির্বাচন করেছে কমিটি। তার মধ্যে বাংলা নেই। এর মধ্যে রাজনীতির রং দিতেও নিষেধ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও ট্যাবলো নিয়ে চিঠি লেখেন রাজ্যকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ট্যাবলো বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিরোধিতায় সুর চড়ায় তামিলনাড়ু, কেরলও। ট্যুইট করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনিও ট্যাবলো বাদ পড়ার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যখন আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের কুচকাওয়াজে থাকবে নেতাজির ট্যাবলো।