বুধবার থেকে লিটার পিছু ২ টাকা করে বেড়েছে দুধের দাম। দুধের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতাদেরও সমস্যা বেড়েছে। এদিন বিধাননগরের একটি দোকানে দুধ কিনতে এসে সুমনা মণ্ডল নামে এক ক্রেতা বলেন, "পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ায় এমনিতেই জিনিসের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। তারপর রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। এবার বাড়ল দুধের দাম। এরকম চলতে থাকলে আমাদের কী করে চলবে! বাড়িতে বাচ্চাদের মুখে যে একটু দুধ তুলে দেব, সেটাতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ঘন ঘন এভাবে দুধের দাম বাড়লে আমরা কোথায় যাব!"
advertisement
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ সরে ঝাড়খণ্ড-ছত্তিসগঢ়ের দিকে, আর কতদিন চলবে একনাগারে বৃষ্টি? জানাল আবহাওয়া দফতর
সুমিত দাস বলেন, "লকডাউনের পরে এমনিতেই যে আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছে তাতেই অনেকের কোমর ভেঙে গিয়েছে। একটু একটু করে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে চলেছে। কিন্তু যেভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে মনে হয় না আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে। দুধের দামটাও বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ খাবে কী?" পলি মজুমদার এই বিষয়টাকে সরকারের দায় এড়ানো বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, "সরকারের কাজ মানুষকে একটু স্বস্তি দেওয়া। কিন্তু করছে তাঁর উলটো। মুখে বড় বড় গরিব-দরদী কথা বলে, অথচ বেছে বেছে দুধের মতো সেই সব জিনিসেরই দাম বাড়ানো হয়, যেগুলো সাধারণ মানুষের পণ্য। আর ধনিদের, শিল্পপতিদের কর মুকুব করা হয়। একটা একটা করে সব জিনিসই হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। অন্তত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে হাত না দেওয়া।"
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য, করা হল একগুচ্ছ পদক্ষেপ
ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতারাও দাম বৃদ্ধির ফলে সমস্যায় পড়েছে বলে দাবি খোকন রায়ের। তার মতে, "জিনিসের দাম বাড়ছে। এটা ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতাদেরও সমস্যা। বিনিয়োগ বেড়ে যাচ্ছে। অথচ লাভ কিন্তু বাড়ছে না। একটা কোম্পানি দাম বাড়ালে বাকিগুলোও তাই করে। দুধের পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্যের দামও বেড়ে যায়। আর সব থেকে বড় বিষয় এই দাম বাড়ার ফলে ক্রেতাড-বিক্রেতার সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দাম বাড়ায় সবার আগে বিক্রেতাকেই সামনে পায় ক্রেতারা। ক্ষোভের সামনে বিক্রেতাকেই পড়তে হয়। যার জন্য বিক্রেতা কোনও ভাবেই দায়ী নন।"