শুক্রবারই আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ ও রুদ্রনীল ঘোষ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তাঁরা। অন্যদিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, "কলকাতা মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত মেধাযুক্ত বঞ্চিত গ্রুপ-ডি, এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানের অনুমতি দিয়েছেন মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কার্নিভালের নামে এবং এই নির্দেশিকাকে না মেনে তারা মমতা পুলিশ কে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, ওখান থেকে উঠে যাওয়ার জন্য।
advertisement
আমি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের জায়গা ধরে রাখুন, কোন অশুভশক্তির কাছে মাথা নত করবেন না। মা উমা আপনাদের সামনে দিয়েই যাবেন, মায়ের আশীর্বাদ আপনাদের সাথে আছে। আপনারা মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ মেনে শক্ত থাকুন।"
৫৭২ দিনে পড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। আদালতের নির্দেশে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। পুজোর সময় আন্দোলনকারীদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেই সময় আর্জিতে কাজ হয়নি। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা ছিল, হাতে নিয়োগপত্র পেলে তবেই প্রতিবাদ মঞ্চ ছাড়বেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : 'দুর্ঘটনাই' নয়...! মালনদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ বিজেপি প্রতিনিধি দলের
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ময়দান থানা থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের ই-মেল করা হয়। আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার রেড রোডে কার্নিভ্যাল। সে কারণে একদিনের জন্য ধর্না প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। সেই অনুরোধে সমর্থন জানান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয় শনিবার গান্ধিমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন না তাঁরা। আন্দোলনকারীদের পাল্টা দাবি, আগামিকাল কার্নিভ্যালের মঞ্চ থেকে নিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক কিছু ঘোষণা করা হোক। অন্তত পক্ষে দেখা করুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।