শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই পরিবহন দফতরের তরফে এই লাভজনক আয়ের রিপোর্ট নবান্নে জমা পড়েছে বলেই সূত্রের খবর। নবান্ন সূত্রে আরও খবর, শুধু মহাষ্ঠমীর দিনেই পুজো দেখতে এসে বেলুড় মঠ ও দক্ষিণেশ্বর থেকে ফেরী পারাপার করেছেন ৪০ হাজার মানুষ। এটাই সর্বকালের রেকর্ড বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন- 'এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে' গানে গানে লক্ষ্মীপুজো! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বেতনের টাকা দিলেন মদন
advertisement
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পথে বাসের আকাল চলছে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকেই। তার ওপর ছোট গাড়ি অর্থাৎ স্কুটার, বাইকের দাপট, যানজট নাভিশ্বাস তুলেছে রাজ্যের গণ পরিবহণে। তাই কিছুটা নিশ্চিন্তে পুজো দেখতে বহু মানুষই এবার জলপথকেই বেছে নিয়েছেন।
সকাল ৮ টা থেকেই রাত ৮টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম হাওড়া থেকে উত্তরকলকাতামুখী সাতটি ফেরী ঘাটকে কেন্দ্র করে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিন থেকে দশমী অর্থাৎ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম বেলুড়মঠকে কেন্দ্র করে সাতটি রুটে লঞ্চ বা ফেরী পরিষেবা দিয়ে ব্যবসা করেছে ১৬ লক্ষ টাকার।
শুধু মহাষ্ঠমীর দিনেই বেলুড় ও দক্ষিণেশ্বর ফেরী ঘাটে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ লক্ষ টাকার বেশি। শুধু বেলুড় ফেরী ঘটেই টিকিট বিক্রি হয়েছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার ২২০ টাকা। আর দক্ষিণেশ্বর ঘাটে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা।
আরও পড়ুন- দেশের সব মহিলারাই যেন পান লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা, পুজোয় প্রার্থনা সুদীপ-নয়নার
ওই দিন বাগবাজার ঘাটে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৮ টাকা। হাওড়া স্টেশন ফেরী ঘাটে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৮ হাজার ২৯০ টাকা। ওই দিন বাকি পাঁচ ফেরী ঘাটে আরও ৫০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর মহানবমীর দিন নিগম এই সাত রুটে টিকিট বিক্রি করেছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন দিক কত টিকিট বিক্রি হল:
মহাষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ফেরী পরিষেবায় পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম কত টিকিট বিক্রি করেছে:
মহাষষ্ঠী(১ অক্টোবর)---- ১,৭৮,৭৮৭ টাকা
মহাসপ্তমী(২ অক্টোবর)---- ৩,৩৪,৯০২টাকা
মহাষ্টমী(৩অক্টোবর)---- ৪,৫১,০১৬ টাকা
মহানবমী(৪অক্টোবর)---- ৪,৪৩,৩৮০ টাক
দশমী(৫অক্টোবর)---- ১,৮৮,০৮৮ টাকা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়