রেশন দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরছে ইডি৷ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, যে সমস্ত আটা কল মালিকেরা দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেকরই চালকলও রয়েছে৷ সেই চালকল মালিকদের একটা বড় অংশ সরকারি সমবায় সমিতিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের থেকে ধান কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতিতেও যুক্ত ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে তদন্তে।
advertisement
ইডি সূত্রের দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমবায় সমিতিগুলি সরাসরি কৃষকদের থেকে ধান কেনে৷ তারপরে সরকার নির্ধারিত নূন্যতম সহায়ক মূল্য অনুযায়ী সেই পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট কৃষকের অ্যাকাউন্টে৷ কিন্তু, বাস্তবে তেমনটা হত না৷
বাকিবুর জেরায় স্বীকার করেছে যে, মিল মালিকদের একটা বড় অংশ গোপনে সরাসরি এজেন্ট মারফত কম দামে কৃষকদের থেকে ধান কিনে নিত। তারপর বিভিন্ন কৃষকদের নামে সেগুলি সমবায় সমিতিতে জমা করত। ধান জমা পরার পরে মিল মালিকদের দেওয়া ভুয়ো কৃষকদের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে যেত। সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে তারপরে হয় নগদ টাকা তুলে নেওয়া হত, নয়ত ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিল মালিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যেত।
সূত্রের খবর, ইডি জেরায় বাকিবুর স্বীকার করেছে, ধান কেনার কালো টাকা কামানোর জন্য নিজের আত্মীয় ও পরিচিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হত। এবার সেই সব আত্মীয় পরিচিতদের অ্যাকাউন্টও ইডির নজরে। অর্থাৎ, বহু বছর ধরে এই এক মোডাস ওপারেন্ডিতে কাজ করে কৃষকদের বঞ্চিত করা সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল সমস্ত মিল মালিক ও চালকল মালিকদের কাছে।
ARPITA HAZRA