রেশন ডিলার সংগঠনের (Ration Dealer Protest) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "আমরা বহুবার খাদ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনও ভাবেই তারা আলোচনা করছেন না। মন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।" যে সব দাবি নিয়ে তারা ধর্ণায় বসছে তা হল, দোকানদারকে সঠিক কমিশন দিতে হবে, প্রয়োজনীয় হারে কমিশন নির্ধারণ করতে হবে, রেশনডিলারদের মাসিক নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা আয়ের গ্যারান্টি দিতে হবে, প্রশাসনিক স্তর থেকে রেশন ডিলারদের উপর প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ বন্ধ করতে হবে, মানসিক শান্তি দিতে হবে।
advertisement
রেশন ডিলারদের (Ration Dealer Protest) দাবি, হ্যান্ডলিং লস, ট্রান্সলিট লস, স্টোরেজ লস নিয়ে দ্রুত রাজ্যকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্লাস্টিক বস্তায় রিপ্যাকেজিং করে চাল, গম দেওয়া যাবে না। খারাপ নমুনার চাল,গম থাকলে তা বদল করতে হবে। ৬৫০০ বা তার বেশী ইউনিটের দোকান ভেঙে নতুন দোকানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। রেশন ডিলারদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবিক অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আরও পড়ুন : "ও সেরকম ছেলে নয়...", আলিয়া কাণ্ডে 'চক্রান্ত' দেখছেন অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনের বাবা
অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ ২০২০ অবধি চার মাসের অতিরিক্ত ১৬ টাকা কমিশন বাড়ানোর টাকা এখনও রেশনডিলাররা পাননি। ২০২০ সালের এপ্রিল/মে মাসে দোকানদের নিজের পয়সায় জিনিস কিনে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হয়েছিল। এর রিসিপ্ট বা চালান দেওয়া সত্ত্বেও এখনও কোনও টাকা পাওয়া যায়নি। দুয়ারে রেশনের ট্রায়াল রান করেও এখনও টাকা পাওয়া যায়নি। অফলাইন কমিশনের পাওনা টাকা অনেক জেলায় এখনও বাকি পড়ে আছে।হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ অর্ডার করা যাবে না। সরকারি নির্দেশ লিখিত আকারে দিতে হবে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রেশন ডিলারদের সংগঠন আপত্তি জানিয়ে আসছেন। রাজ্য অবশ্য রেশন ডিলারদের সংগঠনের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।