৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রতন মালাকারকে প্রার্থী না করে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল৷ তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন রতন৷ দলেরই বিদায়ী কাউন্সিলরের এ হেন বিদ্রোহে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল৷ তার পর থেকেই রতনের মানভঞ্জনের চেষ্টা শুরু হয় দলের তরফে৷
আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
advertisement
রতন মালাকার নিজেই জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সুব্রত বক্সি, মদন মিত্র এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন৷ শেষ পর্যন্ত দলের অনুরোধ মেনে নেন অভিমানী রতন৷ এ দিন তিনি জানিয়েছেন, 'অভিমান আর আবেগের বশবর্তী হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম৷ সুব্রত বক্সী, মদন মিত্র এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মিলে আমাকে বুঝিয়েছেন৷ আমিও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি৷ যেটুকু পেয়েছি তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁর প্রতি আনুগত্য রেখে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে থাকবো।'
আরও পড়ুন: ‘নের্তৃত্ব স্বর্গ থেকে পাওয়া অধিকার নয়’, প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় রাহুল! মুখ তবে মমতাই?
কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের অন্যতম পুরনো কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার৷ কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷ এর মধ্যে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিন বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন রতন৷ তার আগে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি৷
তবে শুধু রতন মালাকার নন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ সেখানে প্রথমে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েও তা বাতিল করে তৃণমূল৷ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করে দল৷ এর প্রতিবাদে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়৷