চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই ভেন্টিলেটর মেশিন। কিন্তু যত সংখ্যায় এই মেশিন দরকার তা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। গোটা দেশে আগামিদিনে যাতে এই ভেন্টিলেটরের চাহিদা পূরণ করতে পারা যায়, তাই আরও বেশি সংখ্যক এই মেশিন বানাতে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই অবশেষে সেই কাজে হাত লাগালো রেল। প্রোটোটাইপ এই ভেন্টিলেটর তৈরির পর পরীক্ষামূলক ভাবে তার ব্যবহার হয়েছে। আই সি এম আর-এর অনুমোদন পেলেই তা ব্যবহার করতে পারবে হাসপাতালগুলি।
দেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই ভেন্টিলেটরের দাম ঠিক করা হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। চিকিৎসকদের অনুমান যদি করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় তাহলে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আগামী জুন মাস অবধি দেশে প্রায় ২ লক্ষ ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হবে। তাই সবাইকেই এই ধরনের জিনিস তৈরিতে জোর দিতে বলা হচ্ছে।
কপুরথালা কোচ ফ্যাক্টরির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্র জৈন বলেন, "আই সি এম আর-এর অনুমোদন ও যথাযথ কাঁচামাল পাওয়া গেলে দিনে ১০০ টির কাছাকাছি ভেন্টিলেটর তৈরি করে দেবেন তারা।" ভেন্টিলেটর মাধ্যমে যেহেতু মানুষের জীবন বাঁচানো হবে তাই এই মেশিনের নাম রাখছে রেল "জীবন"।
অন্যদিকে উত্তর রেলওয়ে বানিয়ে ফেলল পিপিই। করোনা চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিশেষ পোশাক। সংক্রামিত রোগীর চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্র্যয়োজন শরীর ঢাকা এই পোশাক। এই পোশাক চাহিদা আর জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য যাতে বজায় থাকে তার জন্য ভারতীয় রেল এই বিশেষ পোশাক বানানো শুরু করল। উত্তর রেলওয়ে সেই পিপিই পোশাক বানিয়ে কামাল করে দিয়েছে। ডি আর ডি ও-ইতিমধ্যেই এই পোশাক ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এই পিপিই পড়লে যাতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে সেই পরীক্ষাও সেরে ফেলা হয়েছে। রেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের করোনা চিকিৎসার জন্য এই পোশাক দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ABIR GHOSAL