বিজেপি (BJP) ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চোধুরীকে নিশানা করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। যদিও বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করতেই, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে রায়গঞ্জের বিধায়ককে শো কজ করেছিল বিজেপি-র শৃঙখলারক্ষা কমিটি। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, রায়গঞ্জের সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সাঙ্গ, শেষমেশ 'হৃদয়ের' কাছে 'প্রাক্তন' হলেন বাবুল সুপ্রিয়!
advertisement
বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় (Mukul Roy) সহ এই নিয়ে পাঁচ জন বিধায়ক বিজেপি ছাড়লেন৷ অপরদিকে, জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ থাকার জন্য বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন৷ সেখানে আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা কমে ৭৭ থেকে হল ৭০ জন৷
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কৃষ্ণ কল্যাণীর তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। বিধায়ক দল ছাড়লেও বিজেপি-র কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। সেই সময় দল ছাড়ার পর থেকেই কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani) তৃণমূলে (TMC) যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল। এদিন কৃষ্ণ কল্যাণীকে দলে নেওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত মেলার পরই কৃষ্ণ কল্যাণীকে দলে নেওয়া হল।'' রাজনৈতিক মহলের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট, পুনরায় যাঁরা তৃণমূলে ফিরতে চান, তাঁদের অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত নিয়েই দলে ফিরতে হবে।
আরও পড়ুন: হঠাৎই BSF ক্যাম্পে হাজির দিলীপ-সুকান্ত! 'অভিসন্ধি' নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ TMC-র
এদিন দলে যোগ দিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ''বিজেপিতে খালি ষড়যন্ত্র আছে। তা দিয়ে ব্যাটল জেতা যায় না। জিততে হলে উন্নয়ন দরকার। সেটা মমতা বন্দোপাধ্যায় করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নোটবন্দি, জিএসটি এসব করে বিপাকে ফেলছেন মা-বোনদের। আর মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকার সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে নড়বড়ে খুঁটিকে পাকাপোক্ত করছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় তার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন, তাই আমি বিজেপি ছেড়েছি।''
আরও পড়ুন: পাহাড়ি পথের চা-দোকানে হঠাৎ মমতা, লক্ষ্মীবারে বড় চমক দেবেন মুখ্যমন্ত্রী!
বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, ''রায়গঞ্জে অনেকদিন ধরেই ষড়যন্ত্র চলছিল। আমাকেও হারাতে চেয়েছিল। আমি লোককে ভালো পরিষেবা দিয়েছি। আমি ভালো কাজ করে তিরস্কার পেয়েছি। আর দেবশ্রী চৌধুরী, যাকে এলাকায় তিন বছর দেখা যায় না। তিনি পুরষ্কার পেলেন।'' এরপরই শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ''শুভেন্দু বাবু বলেন, তিনি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। আর এক বছর আগে উনি বলতেন বিজেপি হঠাও। উনি এক বছরের সনাতন বিজেপি। আমি ৪৪ বছরের।''