সেই সূত্রেই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য দলীয় নেতৃত্বের একাংশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাহুল সিনহা। শনিবার দলের রাজ্য সদর দফতরে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানের পরই জয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল সিনহা দাবি করেন, জয়ের সঙ্গে পার্টির যোগাযোগে ঘাটতি ছিল সে কথা স্পষ্টভাবেই মেনে নিতে হবে। শুধু জয় নয়, এই কারণে অনেকেই পার্টি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেকের মধ্যেই হতাশা কাজ করছে। তাঁদের সঙ্গে দলের যোগাযোগের অভাব রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিজেপি ছাড়লেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উগরে দিলেন ক্ষোভ
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ 'অর্ধশিক্ষিত', দল ছাড়ার 'পরামর্শে' পাল্টা দিলেন তথাগত! অস্বস্তিতে বিজেপি
রাহুল সিনহা বলেন, ''জয়কে দলে এনেছিলাম আমি। কিন্তু ওর সঙ্গে দলের যতটা সম্পর্ক থাকা দরকার ছিল, ওর পাশে যতটা আমাদের দাঁড়ানোর দরকার ছিল, তা আমরা করতে পারিনি। ওর মধ্যে রাজনৈতিক হতাশা আছে, শারীরিক হতাশা আছে, আর্থিকভাবে হতাশা আছে, পারবারিকভাবেও হতাশা আছে। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে এই কোনও বিষয়ে ওঁর পাশে দাঁড়ানো হয়নি। আমার সঙ্গে ওর ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলেও দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ক্ষীণ। আর একা মানুষকে ভুল বোঝানোর লোকের অভাব হয় না।''
আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, শীতের প্রবেশেও যেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া...
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Joy Banerjee) বিজেপি-র জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই তাঁকেই সরিয়ে তৃণমূল থেকে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করে বিজেপি৷ সেই রাজীব অবশ্য সম্প্রতি ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করেই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গেও রাহুল সিনহা বলেন, ''পদে না থেকেও দলের কাজ যে করা যায়, আমি সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছি। পদের জন্য যারা দল ছাড়ে তারা তো লোভী ছাড়া আর কিছু নন। লোভকে সংযত করাই তো জীবনের কলা। আমি আশা করব, জয় দল ছাড়বে না।'' রাহুল সিনহা জয়ের পাশে দাঁড়ালেও তাঁর অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তাঁর বরং পাল্টা দাবি, 'উনি (জয় বন্দ্যোপাধ্যায়) অসুস্থ ছিলেন৷ দলের রাজ্য দফতরেও আসেন না তেমন৷ আমি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর ওঁর থেকে কোনও ফোন, চিঠি পাইনি৷ ক্ষোভ থাকলে তো আগে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে হবে৷ আমাকে উনি কিছুই জানাননি।''