মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রতিবাদ, প্রতিরোধ মিছিলে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এমপি, এমএলএ, মন্ত্রী ও অনেক নেতৃবৃন্দ আছেন৷ যাঁরা স্লোগান দিয়েছেন তাদেরকে আপনারা চেনেন৷ আগামিকাল সব ব্লকে ব্লকে মিছিল বেরবে। ফাঁসির দাবি ও বাম-রাম চক্রান্তের বিরুদ্ধে৷ দরকার হলে দল, সাধারণ মানুষ কী বলছে তাতে গুরুত্ব দিন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সত্য নয়। ঘটনা না ঘটলেও ফেক ভিডিও করে ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। এআই আজকে কী জিনিস জানেন? আমি বললাম না। আমি গেলাম না। কিন্তু আমার গলা নকল করে হয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন এটা কলিযুগ৷’’
advertisement
এরপরেই মিডিয়া ট্রায়ালের প্রসঙ্গ টানেন মমতা৷ তাঁর দাবি, ছাত্রছাত্রীরা যা দাবি করেছেন, পুলিশের তরফে তা-ই করা হয়েছে৷ মমতার কথায়, ‘‘ঘটনার এভিডেন্স মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য বাইরে আসতে পারে না। ছাত্র-ছাত্রীরা যা করতে বলেছেন কলকাতা পুলিশ তাই করেছে। ডিএনএ টেস্ট, ফরেন্সিক, ডগ স্কোয়াড অবধি পাঠিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে একটাই দাবি, ‘ফাঁসি চাই’, নারী-বাহিনী নিয়ে এবার পথে নামলেন মমতা!
বিজেপি-কে জোরাল আক্রমণ করে মমতার সওয়াল, ‘‘বিলকিসের পরিবারের সাথে অত্যাচার কে করেছে? হাথরস, উন্নাও কে করেছে? উত্তরাখণ্ডে কী হল? নয়দিন পরে নার্সের দেহ পেয়েছে। সাক্ষী মালিককে অত্যাচার করেছিল? ছেলে টিকিট পেয়েছে৷ বাংলাতে বিচার হয়। আপনাদের শাসিত রাজ্যে বিচার হয় না। দোষীদের নিকৃষ্টতম শাস্তি হোক আমরা চাই।’’
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘বাম, বিজেপি রবিবার অবধি অপেক্ষা করতে পারতেন। তা নয় মঙ্গলবার আপনারা আদালতে চলে গেলেন। পুলিশ ৯০% এভিডেন্স কানেক্ট করেছিল। পুলিশ যা তদন্ত করেছে তার ভিডিও বাবা-মা’কে দেখিয়ে এসেছে। আমি রবিবার অবধি সময় দিয়েছিলাম। আমি পরিবারকে দোষ দিইনা। আপনাদের সহ্য হল না। আপনাদের দাবি কী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের সামনে অপমান করতে হবে।’’
আরও পড়ুন: অবশেষে ভোট হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে, দিল্লি থেকে দিন ঘোষণা কমিশনের, ভোট হরিয়াণাতেও
এদিন আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা৷ সরাসরি আঙুল তোলেন বাম এবং বিজেপির দিকে? তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি জানি আরজি করে ভাঙচুর চালিয়েছে সিপিএম-বিজেপি। সিপিএম-এর ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা ছিল। আর বিজেপি নিয়েছিল জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নিয়ম আছে। জাতীয় পতাকা নিয়ে গুন্ডাগিরি হয় না। আমাকে ধমকাবেন, চমকাবেন না। আমরা নিজেরা জিতে আসিনি। আমাদের নির্বাচিত করেছেন জনগণ। বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলে প্রশাসন তা সামলাতে পারে। সমস্যা সামলাতে তারা পারে৷ যান আগে দেশ সামলান৷’’