গত বছর কালীপুজোর পর থেকেই এই রুটে যাত্রীরা পরিষেবা পাবেন সেই বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ট্রায়াল রান শুরু করা গেলেও বিলম্ব হয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির পরিদর্শনে। পরবর্তীতে পরিষেবা চালু করার সম্ভাব্য সময় বদলে তা নতুন বছরের শুরুর দিকে হয়। তারপর ৩০ জানুয়ারি সিআরএস ইনস্পেকশন হয় কলকাতা মেট্রো লাইন সিক্সের প্রথম দফা অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত লাইনটির। তারপর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই পরিষেবা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র হাতে পায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
advertisement
মেট্রোর প্রতিশ্রুতি ছিল ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হওয়ার আগেই ছুটবে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মেট্রো। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিন এসে গেলেও এই রুটে এখনও পর্যন্ত গতিহারা মেট্রো। মেট্রো সূত্রের খবর, ইন্টিগ্রাল টিকেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে যেহেতু কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া - রুবি) সঙ্গে বর্তমানে চালু Blue Line-এর টোকেন সিস্টেম কে জোড়া হচ্ছে, সেই কারণে নয়া ভাড়া কাঠামো নির্মাণ এবং বর্তমানে চালু গোটা পরিষেবার সফটওয়্যার আপডেট-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রয়েছে মেট্রোর। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে তবেই এক টোকেনে একজন যাত্রী দক্ষিণেশ্বর থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন।
কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে মেট্রো বদলের সময় নতুন করে টোকেন কাটা কিংবা পাঞ্চ করতে হবে না যাত্রীদের। এই সিস্টেম পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলেও, রেলবোর্ডের তরফে সবুজ সংকেত না আসা পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা কবে চালু করা যাবে, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশাই বজায় থাকছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রেলবোর্ডের তরফে সবুজ সংকেত আসতে দেরি হওয়ার কারণে এর আগেও বিলম্বিত হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রকল্প। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন চালু করার সময় রেলবোর্ডের তরফে বিলম্ব হওয়ায় দু'বার করে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়েছিল মেট্রোর। তাই এখনও পর্যন্ত সমস্ত পরিকাঠামো প্রস্তুত করার পরেও কবে যাত্রীরা এই মেট্রোয় চড়তে পারবেন, উত্তর জানা নেই কারওরই।