কলকাতা : ফের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে চরম বিপদ থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১১.১০ নাগাদ আর জি কর রোডে কর্তব্যরত ছিলেন শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি, ইন্সপেক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কাজের চরম ব্যস্ততার মধ্যেই দেখতে পান স্কুলের পোশাক পরা এক কিশোরী কেঁদে চলেছে। অভিজ্ঞ ইন্সপেক্টর পার্থর বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে ওই কিশোরী বড় কোনও বিপদে পড়েছে।
এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ছাত্রীটির কাছে গিয়ে পার্থ তার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে কিশোরী জানায় সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে তার খেয়াল হয় সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডই নেই। এদিকে সেখান থেকে আবার বাড়িতে ফিরে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড নিতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আর কেউ ছিলেনও না।
লহমায় সিদ্ধান্ত নেন পার্থ। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ছাত্রীকে নিজের গাড়িতে নিয়ে নেন তিনি। তার পর ঝড়ের বেগে পৌঁছন ঘোষ বাগান লেনে তার বাড়িতে। বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড নেয় ছাত্রী। তার পর আবার অ্যাডমিট কার্ড-সহ পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দেন মিল্ক কলোনি এলাকায় শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা সঙ্ঘে তার পরীক্ষাকেন্দ্রে।
তাঁরা যখন পৌঁছেছেন, তত ক্ষণে মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রায় শুরু হয়-হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে স্বস্তির শ্বাস পরীক্ষার্থীর। নিশ্চিন্ত হন অ্যাডিশনাল ওসি, ইন্সপেক্টর পার্থও। এই সাহায্যের জন্য কলকাতা পুলিশকে অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ছাত্রীটি নিজে এবং তার পরিবার । তার আগামী দিনগুলির জন্য শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফেও।
প্রসঙ্গত শনিবারও এইভাবেই এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ান হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। তিনি গ্রিন করিডোর তৈরি করে এক পরীক্ষার্থীকে পৌঁছে দেন তার পরীক্ষাকেন্দ্রে। বাড়ির সকলে দাদুর পারলৌকিক কাজে চলে যাওয়ায় ওই কিশোরী একাই যাচ্ছিল পরীক্ষা দিতে। বাড়ি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে না পেরে মাঝপথে দাঁড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছিল। তখনই তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। কলকাতা পুলিশের এই মানবিক মুখকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।