জানা গিয়েছে, বাসগুলি একদিকে যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনই সৌখিন, আরামদায়ক। খরচ ডিজেল চালিত বাসের থেকে কিছুটা কম। ডিজেলে এই বাস যত কিলোমিটার যায় তার থেকে কুড়ি শতাংশ বেশি সিএনজিতে। ডিজেলের লিটার ১০০ টাকা পেরিয়েছে,সেখানে সিএনজি ৭৪টাকা প্রতি কেজি। এতে অনেকটাই আর্থিক সাশ্রয় হবে বলে ধারনা বাস মালিকদের।বাসের মালিকদের বক্তব্য, বাস রুটে না চালানো পর্যন্ত লাভ-ক্ষতির হিসাবটা তাঁরা জানতে পারছেন না। সিটি সুবারবার্ন বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা জানান, 'পরিবহণ মন্ত্রীর সদর্থক ভূমিকাকে স্বাগত জানাই।পরিবহণ দফতর উল্টোডাঙ্গার ১৫ নম্বর সরকারি বাস স্ট্যান্ড ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। যাত্রীরা ওখান থেকেই এই বাস ধরতে পারবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! এখন থেকে পুলিশ, হাসপাতাল, দমকলে ফোন করার জরুরি নম্বর একটাই
প্রতিটি বাসের ভিতর থাকছে সিসি ক্যামেরা । ৩২ জন যাত্রী বসতে পারবেন।একটি সিটের থেকে আরেকটি সিটের মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য থাকছে। ফলে যাত্রীরা স্বচ্ছন্দে বসতে পারবেন। অনেক বাসেই পা রাখার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, অর্থাৎ লেগ-স্পেস কম থাকে, কিন্তু এই বাসে লেগ-স্পেস যথেষ্ট! ওই রুটে সর্বনিম্ন ২০টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ভাড়া হবে।প্রতিটি বাসে ১৬.২ কেজি করে চারটি গ্যাসের ট্যাংক থাকছে। প্রতি কেজিতে বাস চলবে ৫-৫.৫ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটার যেতে ১৫০০টাকার গ্যাস লাগবে। কিন্তু ওই রাস্তা যেতে ২৫০০ টাকার ডিজেল লাগবে। অতএব এই বাসে অনেক সাশ্রয় বলেই মনে করছেন বাস মালিকরা।
আরও পড়ুন: মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুজো দিতে এলাম, হঠাৎ কালীঘাট মন্দিরে এসে বললেন মমতা
১৫ দিন অন্তর পাঁচটা করে বাস আসবে শহরে। এ'পর্যন্ত ২০টি বাসের অনুমতি দিয়েছে পরিবহণ দফতর। সিএনজি পাম্প বাড়ছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়, আগামিদিনে কলকাতা কিংবা দূরপাল্লায় এই সিএনজি চালিত বাস চলবে বলেই আশা করা হচ্ছে।