প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এসএসসি-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। আর এই নিয়োগ ঘিরেই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। যার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগে এই নিয়োগ মামলায় নাম জড়িয়েছে পরেশ অধিকারী ও তার মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীরও। পরেশ অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়ে অঙ্কিতার চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এবার সেই নিয়োগ দুর্নীতিতেই নাম আসছে তাপস মণ্ডলের ছেলে বীজেশ মণ্ডলের। সিবিআইয়ের দাবি, তারা মনে করছেন বীজেশের চাকরি পাওয়ার নেপথ্যে তার বাবা তাপসের হাত রয়েছে। তাপস মণ্ডলের সুপারিশে তার ছেলের নিয়োগ হয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফের হার বিজেপি-র, মেয়র হলেন শেলি, কেজরী-মণীশ বললেন, 'গুন্ডারা হেরেছে'
সূত্রের দাবি, তাপস মণ্ডলের ছেলের নিয়োগ নিয়ে জেরা করা হয়েছে তাপসকে। জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর তিন আত্মীয়ের নিয়োগ প্রসঙ্গেও। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তাপসের দুই ভাগ্নে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি পেয়েছিলেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও। তিনিও যোগ দিয়েছিলন শিক্ষক পদে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে এই তিনজনেরই চাকরি গেছে। এই বিষয়টিও জানেন সিবিআইয়ের কর্তারা। তাই তাপস মণ্ডলের ছেলের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন দানা বেঁধেছে সিবিআই কর্তাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
যদিও সিবিআই জেরাতে তাপস করেছেন, তিনি তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের নিয়োগের বিষয়ে কোনও সুপারিশ করেননি। কিন্তু তাঁর বক্তব্য মানতে নারাজ সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা খোঁজ করতে শুরু করেছেন কী ভাবে তাপসের ছেলের চাকরি হল? কাকে সুপারিশ করেছিলেন তাপস? এর থেকে আবারও নতুন কোনও মাথার হদিশ মিলতে পারে বলে মনে করছে সিবিআই। শুধু তাপস কেন? চন্দন মণ্ডল নিজের মেয়ে, ভাইজি সহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, গত রবিবারই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।