সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম শোনা যায়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের মুখে৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন, তিনি কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম শোনেন। বেনিয়মে চাকরি করিয়ে দেওয়ার সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর যোগ রয়েছে বলে তাপস মণ্ডলকে নাকি জানিয়েছিলেন কুন্তল। এরপরেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ম্যারাথন তল্লাশিতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: সরলেন নন্দিনী! পর্যটন নিগমে এলেন বাবুলের ‘পছন্দের’ সায়ন্তিকা-ইন্দ্রনীল
বেশ কয়েকবার তলব করার পরে অবশেষে গত ৩০ মে গ্রেফতার করা হয় সুজয়কে। সূত্রের খবর, এদিন ইডির দাখিল করা মোট ১২৬ পাতার চার্জশিটে ৭ হাজার ৬০০ পাতার নথি রয়েছে। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, প্রায় ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির লেনদেনে যুক্ত ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
ইডির দাবি, একাধিক কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অনুমান ইডি-র। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুজয় ভদ্র কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ।
সূত্রের খবর, ইডির তল্লাশিতে সুজয় ভদ্রের একাধিক সম্পত্তির হদিসও মিলেছে। সুজয়কৃষ্ণের কাছ থেকে ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ। সম্পত্তি ও নথি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও মিলেছে অসঙ্গতি।