এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, ‘‘কেন আমরা জামিনের বিরোধিতা করেছি তার বিস্তারিত তথ্য কেস ডায়েরিতে উল্লেখ আছে। ৪১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে… একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে। ৫০ পিএমএল অ্যাক্টে বেশ কয়েকজনের বয়ান আছে। ওঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। আমাদের তদন্তে ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তার সপক্ষে তিনি বলেছিলেন চাষ ও ফলনের থেকে পাওয়া। কিন্তু বয়ান রেকর্ডের সময় প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেননি৷ যে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতেও একাধিক লেনদেন বা টাকার উৎস অন্ধকারে রেখেছিলেন৷ জমি সংক্রান্ত একাধিক তথ্য পাওয়া গেছে৷’’
advertisement
ইডি আধিকারিককে জানান, ২৯/৭/২৫- মুরারই জমি আধিকারিকের দফতর থেকেও বেশ কিছু জমির নথি খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ যে সমস্ত নথি পাওয়া গেছে তাতে তাঁর জমি ও আয়ের সঙ্গতির মধ্যে বৈষম্য রয়েছে৷ অনেক নথি চাওয়া হয়েছিল ওঁর কাছে। উনি পাঠাননি। চার্জশিট জমা পড়ার পরে তড়িঘডি এসে জমা করলেন। এক্ষেত্রে, তো বোঝা যাচ্ছে ওঁর ইনটেনশন৷ উনি প্রভাবশালী। একদিনেই ওঁর অন্তর্বর্তী জামিন হল।
ইডির দাবি, ‘‘উনি বলছেন চাষবাস ও রিয়েল স্টেট থেকে টাকা এসেছে। যা সন্দেহজনক। আমার ডকুমেন্টস পাইনি। উনি দেখাতে পারেননি। আমরা আরও নগদ লেনদেনের হদিস পেয়েছি। তার জন্য হেফাজতে নিয়ে জেরা প্রয়োজন৷ যে যে নথি পাওয়া গেছে, তা ওঁর কাস্টডির পক্ষে যথেষ্ট৷ প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী উনি৷ চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে নথি দিচ্ছিলেন না। বোঝাই যাচ্ছে প্রভাব৷ ২২ জুলাই নোটিস দিয়ে ডকুমেন্টস চাওয়া হয়েছিল। আয়কর, ব্যাঙ্ক ডিটেলস, সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি এই চাওয়া হয়েছিল। সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। উনি দিলেন না… চার্জশিট জমা হল ৬ অগস্ট। তারপর উনি চলে এলেন!’’
অন্যদিকে, চন্দ্রনাথের আইনজীবী আদালতে জামিন বাতিলের আবেদনের বিরোধিতায় জানান, ‘‘উনি যা পিটিশন জমা দিয়েছেন তার মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখতে হবে। উনি যাতে নতুন কোনও তথ্য এই শুনানিতে না রাখেন৷ ২২/৩/২৪ সার্চ হয়। নগদ টাকা পাওয়া যায়। ওঁর ও ওঁর স্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এই ঘটনার পর পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি জমা দেওয়া হয়। তাতে ওঁর নাম ছিল না। এরপর ওঁকে নথি চাওয়া হয়েছিল। ৬ অগাস্ট সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেন। আমরা ডকুমেন্ট দিয়েছি ইডিকে।’’
ইডির দাবি, প্রায় ১৫৯ জন প্রার্থীর কাছ থেকে গড়ে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মন্ত্রী৷ যা যোগ করলে দাঁড়ায় ১২.৭২ কোটি টাকা৷ এত বিপুল অর্থ কোথায় গেল, তা এখনও পর্যন্ত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি তিনি৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সম্পত্তি, তেমন কোনও হদিস মেলেনি৷
ধৃত তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের জবানবন্দি থেকে প্রথম চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জানতে পারে ইডি৷ গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন চন্দ্রনাথ৷ পরে অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পান৷
