প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিটে মূল্যায়নের সময় কি জল মেশানো হয়েছে? অর্থাৎ, অকৃতকার্যদের নিয়োগ করতে নম্বর বাড়ানো হয়েছে? নম্বর কি বেড়েছে বরাত পাওয়া মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরেই? এই সমস্ত অজানা তথ্যের উত্তর পেতে মঙ্গলবার অভিযান চালাল সিবিআই। ২০১৪ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এদিন এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বর্তমান ও প্রয়াত অংশীদারদের ঠিকানায় হঠাৎই হাজির হয় সিবিআই। চলে তল্লাশি অভিযান।
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সংস্থার অংশীদার কৌশিক মাঝির হাওড়ার দাশনগরের বাড়িতে অভিযান চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়ে। এর আগে গত সপ্তাহে নিজাম প্যালাসে সিবিআই দফতরে ডেকে দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কৌশিক মাঝিকে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন ওই সংস্থার আরও এক কর্তা পার্থ সেন। সূত্রের খবর, তাঁর জগাছার বাড়িতেও অভিযান চলে এদিন। এছাড়া, সংস্থার আরও এক অংশীদার গৌতম মুখোপাধ্যায় যিনি বছর খানেক আগে প্রয়াত হয়েছেন, তাঁর সল্টলেকের বাড়িতেও সিবিআই দল গিয়েছিল বলে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট ও চাকরিপ্রার্থীদের মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল এই সংস্থা। কার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে ওই সংস্থার যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল? মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ওই সংস্থার কর্মকর্তাদের যোগাযোগ কেমন ছিল? কতবার বৈঠক হয়েছিল? এই বিষয়গুলো জানতে মরিয়া সিবিআই।
এমনকি, অনুত্তীর্ণদের নম্বর বাড়িয়ে দিতে এই সংস্থাকে কোনও তালিকা পাঠানো হয়েছিল কি না? কার নির্দেশে ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে, এই বিষয়গুলো সংস্থার পরতিনিধিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
আরও পড়ুন: আবার চিঠি! বিধানসভা না রাজভবন, কোথায় হবে শপথগ্রহণ? ধূপগুড়ি নিয়ে ক্রমেই জটিল হচ্ছে জট
উল্লেখ্য, সাদা খাতা জমা দিয়েও বেশ কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে৷ ওঁরা কীভাবে চাকরি পেলেন, প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। কেন সিবিআই তদন্তে গড়িমসি দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআই-কে। এই পরিস্থিতিতে এদিনের এই অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।