এখানেই শেষ নয়, জানা গিয়েছে, এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ আরেক ব্য়ক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআইয়ের দল৷ তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্পেশাল ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা৷
জানা গিয়েছে, নিউ ব্যারাকপুরে ‘বৈকুণ্ঠ’ নামে একটি বাড়িতে ঢোকে সিবিআইয়ের একটি দল। পাশাপাশি, বেহালায় ফকিরপাড়ায় ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্রের বাড়িতে যায় সিবিআই টিম। সেখানেও চলে তল্লাশি অভিযান। অভিযান চালানো হয়, তাঁর বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকা ত্রিবেণী অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটেও৷
advertisement
সুজয় ভদ্রের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অপর ধৃত কুন্তল ঘোষই তাপস মণ্ডলকে কালীঘাটের কাকুর কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস।
আরও পড়ুন: আপাতত স্বস্তি অমর্ত্য সেনের! জমিজট নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরের বাড়িতেও এদিন যায় সিবিআই টিম। সেখানেও তল্লাশি চলে। পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্য়ারাকপুরের এক কাউন্সিলরের বাড়িতেও যান গোয়েন্দারা৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের কাছে কুন্তল দাবি করেছিলেন, বিভিন্ন প্রার্থীদের থেকে যে টাকা আসত সেই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির হাত ঘুরে পৌঁছত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে৷
আরও পড়ুন: বড় আপডেট! শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা
ইডি-র চার্জেশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, কুন্তল দাবি করেছেন, তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে। এছাড়াও, ২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। যার মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকা কুন্তল কমিশন হিসাবে নিজের কাছে রেখেছিলেন। বাকি টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন গোপাল দলপতিকে। সেই টাকার কিছু যায় গোপালের কোম্পানির অ্যাকাউন্টে৷
অপরদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে বেহালার শিবরামপুর বাসিন্দা সন্তু গাঙ্গুলির বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই। পেশায় প্রোমোটার এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ,তিনিও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বদলে বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিতেন লোকজনকে৷ এদিন সিবিআইয়ের দলের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল দল।
ARPITA HAZRA