সিবিআই সূত্রে খবর, এই শিক্ষকদের নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই। এই শিক্ষকদের থেকে অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট, ২০১৪-এর টেটের নথি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক রেজাল্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ডকুমেন্টস দেখে খতিয়ে দেখবে সিবিআই। বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের CBI ডেকে পাঠাচ্ছে তাদের নথি দেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া ডিস্ট্রিক প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলকে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘অপহরণ’ অভিযোগ! জয়ী প্রার্থী জানালেন, ‘আত্মীয়ের বাড়িতে আছি!’
ওই সাত শিক্ষককে সিবিআইতে নথি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সাত শিক্ষক বাঁকুড়ায় প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসিস্টেন্ট টিচার হিসাবে নিযুক্ত। এদের যাবতীয় নথি ডকুমেন্টস নিয়ে নিজাম প্যালেসে বুধবার সকাল এগারোটায় হাজিরার জন্য নির্দেশ। এতদিন ধরে সিবিআই সাক্ষী হিসাবে বয়ান রেকর্ড করত যেসব শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন ও চাকরিপ্রাথীদের।
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো চালু হওয়ায় গ্রিন লাইনে যাত্রী বৃদ্ধি ৪৩৬%, কলকাতা মেট্রোর সাফল্য!
কিন্তু সোমবারে আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালত ৩১৯ ধারায় নোটিস দিয়ে চার শিক্ষককে তলব করেছিল। এবং গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে ২১ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আর এবার সাত শিক্ষককে তলব নিজামে। সাত শিক্ষকের চাকরি কীভাবে? কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন? চাকরি করার জন্য যাবতীয় শর্ত অর্থাৎ পরীক্ষা, ইন্টারভিউ সব কি হয়েছিল? সেই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই। ওয়াকিবহল মহলের মতে, ঘুষ নেওয়া অপরাধ হলে, ঘুষ দেওয়াও অপরাধ। আর তাই যাঁদের নাম চার্জশিটয়ে ছিল সেই শিক্ষকদের মধ্যে চারজন গ্রেফতার হলেও, যাঁদের নাম চার্জশিটয়ে নেই অথচ বেআইনি ভাবে চাকরি করছেন। তাঁদের ভবিষ্যত কী? প্রশ্ন ওয়ায়াকিবহল মহলের।