এই ঘটনা ছাড়াও ২০২২ এর অগাস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘটা অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা অশান্তির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করেন। এই হাই পাওয়ার কমিটি ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ, হিন্দু হোস্টেলে ঘটা অশান্তির রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ভদ্রলোক' মানিক না কি হাওয়াই চটি পরা প্রতিমা, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কার? সরগরম ত্রিপুরা
সূত্রের খবর তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই চারজন ছাত্র নেতা কে সনাক্ত করা গিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। যদিও এই সাসপেনশনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "হিন্দু হোস্টেলে টিএমসিপি করার জন্য ছাত্রদের আলো বন্ধ করে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানে তাদের উদ্ধার করতে গেলে ভেতর থেকে গরম জল পর্যন্ত ছোড়া হয়। সেই পরিস্থিতিতেই পাল্টা প্রত্যাঘাত করে টিএমসিপি।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল ট্রেনে উত্তর পূর্ব ভারত ভ্রমণ! শুরু নতুন পরিষেবা, খরচ কত? জানালো রেল
এছাড়া অগাস্ট মাসের যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে সেই ঘটনায় কোন ভূমিকায় ছিল না তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। শুধুমাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার অপরাধে মারধর করা হয়েছিল কিছু ছাত্রকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা ইমেইল করে আমাদের প্রতিবাদ জানাবো। তাতে সাসপেনশন না তোলা হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলন করবে টিএমসিপি।" যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তে খুশি নয় এসএফআইও। এসএফআই এর প্রেসিডেন্সি ইউনিটের প্রেসিডেন্ট আনন্দরূপা পালিত জানান,"বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসে বারবার আক্রমণ করা হয়েছে এসএফআই এর উপর। আমরা চেয়েছিলাম যাতে তাদের বহিষ্কার করা হয়, তা হয়নি।"