যদিও এই তালিকা যাচাইয়ের যে এসওপি রাজ্য তৈরি করেছিল তাতে ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তালিকা ক্রস চেকিংয়ের কাজ শেষ করার কথা ছিল। ২০ নভেম্বর, উপভোক্তাদের তথ্যপঞ্জী-সহ প্রভিশ্যানাল বা প্রাথমিক চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা।
advertisement
তবে আবাস যোজনার সমীক্ষা নিয়েও কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ফের বিক্ষোভের ঘটনা সামনে এসেছে৷ সেই কারণেই নতুন করে নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে জেলায়-জেলায় সমীক্ষকদের এই বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ কি সেই নির্দেশ, আসুন দেখে নেওয়া যাক –
১) রাজনৈতিক দলগুলি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আবাস তালিকা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে হবে। তাঁদের জানাতে হবে, তালিকায় থাকা নাম যাচাই করা হচ্ছে। বিশেষ করে পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট এবং সিএমআরও বা অভিযোগ নিস্পত্তি সেল থেকে পাওয়া নামগুলিকে যাচাই করতে হবে।
২) সমস্ত বাতিল হওয়া নাম নতুন করে যথাযথভাবে পরীক্ষা করতে হবে। পাকা বাড়ির কী আইনি বাখ্যা রয়েছে তা জানতে হবে। সমীক্ষকদের কোনও সন্দেহ হলে তা যথাযথভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যাতে কোনওভাবে একজন যোগ্য ব্যক্তিও বঞ্চিত না হয়।
৩) অভিযোগ নিস্পত্তি সেল বা সিএমআরও থেকে আসা সমস্ত নাম ও যে তথ্যগুলির খোঁজ মিলছে না তা গুরুত্ব সহকার যাচাই করতে হবে।
৪) উপভোক্তাদের নাম ,ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইডি সহ সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করার সময় বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এজন্য প্রতিটি স্তরে নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে কোনও ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধন করা যায়।
৫) পুলিশ স্বাধীনভাবে তালিকায় থাকা নাম যাচাই করবে। তাঁদেরকেও তালিকা দিয়ে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে।
৬) প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়ির তালিকা তৈরি হবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের নির্দেশিকা মেনে। সমীক্ষকরা সরজমিনে যা যাচাই করে দেবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিকে জানাতে হবে কী পদ্ধতিতে তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে সবটা পরিষ্কার করে দিতে হবে৷ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলির জন্য নতুন স্কিমে কিছু করা হচ্ছে না।
৭) এব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে পর্যাপ্ত প্রচার করতে বলা হয়েছে। যাতে কোনওভাবে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয়। এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে।
৮) নামের তালিকা যাচাইয়ের পর সমস্ত তথ্য এবং উপভোক্তা নির্বাচন ও বাতিলের পক্ষে ছবি এবং ভিডিও সংগ্রহ করে রাখতে হবে। যাতে যে কোনও সময় যাচাই করতে হলে সহজেই বুঝে নেওয়া যায়।
৯) গ্রাম পঞ্চায়েত ও গ্রাম সংসদ এলাকা ভিত্তিক তালিকা বিশ্লেষন করতে হবে। যাচাই সমীক্ষা চালানোর সময় কোনও এলাকায় সবচেয়ে বেশি বা কম নাম বাতিল হয়েছে বা গৃহিত হয়েছে, তার তালিকা রাখতে হবে। পরে তার ভিত্তিতে একটা নমুনা সমীক্ষা করা হবে। ২০২২ সালে সমীক্ষার ভিত্তিতে এই তালিকা নিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। তাই তালিকা যাচইয়ের সময় কোথাও বেশি বা কম নাম বাতিল বা গৃহীত হলে যথাযথ বাখ্যা যেন থাকে।
১০) সুপার চেকিং ব্যবস্থাকে আরও নিবীড়বাবে যাচাইয়ের কাজ করতে হবে। সমীক্ষকদের সরজমিনে গিয়ে সমস্ত তথ্য পুঙ্খাপুঙ্খ যাচাই করতে হবে।
১১) গ্রাম সভা ও ব্লক লেভেল কমিটির অনুমোদন-সহ সমস্ত নথি যথাযথ সংরক্ষণ করতে হবে।
নির্দেশে এও বলা হয়েছে মনে রাখতে হবে, যেকোনো ধরনের গাফিলতি বা ইচ্ছাকৃত ভুল সহ্য করা হবে না।