পোস্টের শুরু থেকে শেষ, ঠিক যেন গল্পের চলনে এগিয়েছে লেখা। শ্রীজাত লিখছেন, ''‘শ্রীজাতবাবু বলছেন?’ ‘হ্যাঁ, বলছি, আপনি?’ ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বলছি। মুখ্যমন্ত্রী আপনার সঙ্গে একবার কথা বলতে চান। এখন অসুবিধে নেই তো?’ ‘না না, অসুবিধে কীসের’। ‘বেশ, তাহলে ধরুন একটু, আমি লাইনটা ট্রান্সফার করছি’।
advertisement
এরপর শ্রীজাত লিখেছেন, ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেকার কথাবার্তা। এবং সেই সমস্ত কিছুর বিবরণ। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে শ্রীজাত লিখেছেন, ''সেবার পড়বি-তো-পড় আমার বসার জায়গাটি মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে লাগোয়া। একাধিকবার ইশারা বিনিময়ের এই খেলা স্বাভাবিকভাবেই ওঁর চোখ এড়ায়নি। খুব মৃদু স্বরে প্রশ্ন করলেন, ‘কে? বৌমা?’ এর আগেও ওঁর সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে, উনি ‘বৌমা’ সম্বোধনেই দূর্বা’র খোঁজ নিয়েছেন। চাক্ষুষ এই প্রথম। আমি বাধ্য হয়েই বললাম, ‘হ্যাঁ, এই প্রথম ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এল। আপনার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবো’। শুনে বললেন, ‘অবশ্যই। অনুষ্ঠান শেষ হলে একবার যেন মঞ্চে আসে। তখন আলাপ হবে’।
আরও পড়ুন: দিনের শেষে এল প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, ধন্যবাদ জানালেন মমতা
এরপর তিনি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনের কথাবার্তা, যেখানে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলছেন, ''‘আসলে, আমি স্যরি বলার জন্যে ফোনটা করেছি’। ২১ তারিখ অনুষ্ঠান শেষ হবার পর বৌমা’র সঙ্গে আলাপ করব বললাম। কিন্তু তারপর তাড়াহুড়োয় আর খেয়াল করিনি, বেরিয়ে গেছি। রাতে বাড়ি ফিরে যখন মনে পড়ল, তখন এত খারাপ লেগেছে, কী বলব। পরদিন সকাল থেকেই আপনাকে ফোনে ধরার চেষ্টা করছি। সেদিন বৌমা’র সঙ্গে দেখা না-করে চলা যাওয়া আমার উচিত হয়নি।''
আরও পড়ুন: বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার ১৬.৫! উদ্বেগজনক রাজ্যগুলির তালিকা দেখে নিন...
শ্রীজাত-র এই পোস্ট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বলা বাহুল্য, আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ না দিলেও শাসক শিবিরের সঙ্গে কবি শ্রীজাত-র সম্পর্ক এখন যথেষ্ট উষ্ণ। এই পরিস্থিতিতে শ্রীজাত-র এই ফেসবুক পোস্ট খুব 'স্বাভাবিক' বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।