নদিয়ার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতেও ৫০ শতাংশের কাছাকাছি বাড়িতে বাড়িতে জলের সংযোগ পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলেই দাবি দফতরের। ডিসেম্বরের মধ্যেই ৬০ লক্ষ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট রাখা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের মতে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই সেই টার্গেট পূরণ করা হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সত্যিই কি লটারি জিতে কোটি টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত? রহস্য ফাঁস করতে আসানসোল জেলে সিবিআই
আরও পড়ুন: চোখ কেন ঢাকা? ভিড়ের মধ্যেও ছোট্ট মেয়েকে দেখেই এগিয়ে গেলেন অভিষেক, মিলল চিকিৎসার আশ্বাস
অন্য দিকে, এ দিন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব ভিনি মহাজন কলকাতায় এসে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সচিব পর্যায় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিভিন্ন জেলায় জল জীবন মিশন ও স্বচ্ছতা অভিযানের কাজ কেমন চলছে তা নিয়ে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেও তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ রাজ্য এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে। শনিবারের বৈঠকে প্রত্যেকটি জেলার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব। পাশাপাশি কোন কোন জেলায় কী কী খামতি রয়েছে, সেই বিষয়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশ এ দিনের বৈঠকে তিনি দেন। কয়েকটি জেলা উল্লেখযোগ্য ভাবে জল জীবন মিশন প্রকল্পে যে ভাল কাজ করছে সে বিষয়েও এদিন বৈঠকে বলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের সচিব, নবান্ন সূত্রে খবর তেমনই।
বৈঠকে উপস্থিত থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রের থেকে যে পাওয়া যায়নি, সেই বিষয়েও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন বলেও জানা গিয়েছে। তার জন্য এই দুই প্রকল্পের কাজের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে বলেও বৈঠকে তিনি উল্লেখ করেন। বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বারবার রাজ্য শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। সেই টার্গেটকেই এখন ধরে রাখা অন্যতম চ্যালেঞ্জ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়