মামলাকারীর অভিযোগ, কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামার দশ নম্বর পৃষ্ঠায় জানানো হয়েছিল যে তারা সমাজসেবী। কিন্তু সেই হলফনামায় K.B. Foundation এবং K.A. Creative LLP সহ একাধিক সম্পত্তির উল্লেখ নেই। ডিড নম্বর ০৩১৪৩/২০১৫, ৫৫৫/২০১৭ , ১০৮৭/২০১৯ এবং ০৬১৫/২০২০ র কোন উল্লেখ নেই ওই হলফনামায়। মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন রেজিস্ট্রারের থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে দেখা যাচ্ছে যে একাধিক সরকারি সম্পত্তি বাজারদরের চেয়ে অনেক কম টাকায় কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দুর্নীতি সামনে এনেছি বলেই আমার বিরুদ্ধে চিঠি', বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নামে বহু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে এবং আশ্চর্যজনক ভাবে এই সবগুলিই কেনা হয়েছে ২০১৩ সালের পরে এবং সেই বছরের ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারি সামনে এসেছিল।
আরও পড়ুন: 'পার্থ-অনুব্রত-ববি চোর, আর আপনারা সাধু!', গ্রেফতারির পর এই প্রথম মমতার মুখে পার্থর নাম
জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী অরিজিৎ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ট্রাস্টের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
Leaps & Bounds infra Consultant Pvt. Ltd, Leaps & Bounds Pvt. Ltd, Leaps & Bounds Management Services LLP এবং Trinetra Consultant, এই সবগুলিই বন্দোপাধ্যায় পরিবার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে ওই আবেদনে জানানো হয়েছে। কোনও এক অজানা কারণে কেউই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে নাম CBI, ED এবং আয়কর দফতরকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে মামলায়।
মামলাকারী অরিজিৎ মজুমদারের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, ''মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ মামলায় নেই। তবে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আমাদের মামলায়।''