ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব থেকে শুরু হয় ভুয়ো আইপিএস রাজশ্রী ভট্টাচার্য সকলেই যথেষ্ট ভালো পরিবারের সন্তান। একইসঙ্গে পড়াশোনা তোও যথেষ্ট ভালো ছিল তারা। এক কথায় ছোট থেকেই যথেষ্ট বুদ্ধিমান। কিন্তু তারা এই ধরনের কাজ কেন করে থাকে? মনোবিদ রাজশ্রী রায় বলেন, 'এক্ষেত্রে সব সময় মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিষয় থাকবে এমনটা নাও হতে পারে। তারপরও এই জায়গায় পৌঁছতে গেলে কিছু বিষয় এসেই যাই।' তার মতে এগুলো অনেক সময় জিনগত বিষয় হতে পারে। একই সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সমস্যা, কোনও কিছুর চেয়ে না পাওয়া, বাড়ির অতিরিক্ত চাপের মত অনেক বিষয় আছে যে গুলো থেকেও হতে পারে। তিনি বলেন, 'অপরাধ করে অপরাধী যদি পালিয়ে যায় তাহলে তার মধ্যে কোনও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে না। কিন্তু এরা তাদের অপরাধের পরিধি দিনে দিনে আরও বাড়িয়েছে। এখানেই ওদের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। প্রতিটা কাজ কত সূক্ষ্মভাবে তারা করেছে।' ঠিক এই অবস্থাটা কি মনোবিদ সব্যসাচী মিত্র সোশিওপ্যাথ বলেছেন। সব্যসাচী বাবু মনে করেন, দেবাঞ্জন দেব বা রাজশ্রী ভট্টাচার্য কেউ ডিলিউশনাল ডিজঅর্ডার(delusional disorder)এ ভুগছেন না। অর্থাৎ তাদের মানসিক অবস্থা সে রকম নয় যে দ্বারা কোন ভাবের জগত বা নিজের মনে তৈরি করা অদৃষ্ট জগতে বাস করছেন এমনটা একেবারেই নয়। বরং তারা যা করছে সবটা ভেবেচিন্তেই করছে। সব্যসাচী মিত্র বলেন, 'ডিলিউশনাল ডিজঅর্ডার থাকলে অনেক আগেই ধরা পড়ে যেত। সেটা সম্পূর্ণভাবে মানসিক রোগ এবং তার চিকিৎসা আছে। কিন্তু সোশিওপ্যাথ হলে সেখানে জেনেশুনেই সব কিছু করে।' তিনি মনে করেন দেবাঞ্জন বা রাজশ্রী যা করেছে তার সবটাই সজ্ঞানে করেছেন। 'এর জন্য কোন সামাজিক পেক্ষাপটে প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের অপরাধীরা প্রত্যেকেই ভিশন বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। এরা একটা অপরাধ করবার আগে এক মাস ধরে পরিকল্পনা করেন।'
advertisement
SOUJAN MONDAL
