তা হলে চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? উত্তর, ডাক্তারহীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তিন থেকে চার ঘণ্টা খোলা থাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। তার পর তালা ঝুলে যায় গেটে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, ওষুধ আছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট এবং নার্সরা চিকিৎসা করছেন রোগীদের। রোগীরা আসছেন, সমস্যা বললে ওষুধ দিয়ে দিচ্ছেন ফার্মাসিস্ট।
advertisement
আরও পড়ুন- 'সেই যে ভিডিও কল কাটল...', অমরনাথে নিখোঁজ কলকাতার চার বন্ধু
প্রেসক্রিপশন বা কোনও কাগজপত্র দিচ্ছেন না। ওষুধ নিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে রোগী। ওষুধ খাচ্ছেন। ভাল হলে ঠিক আছে। ভাল না হলে আবার আসছেন। শরীরের আসল সমস্যাটা কী? সেটা জানতে পারছেন না।
এভাবেই বছরের পর বছর চলে আসছে গড়িয়া ফরতাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রতিদিন এখানে ২০০র বেশি রোগী হয়। সবকিছুই চালাচ্ছেন ফার্মাসিস্ট এবং নার্সরা।
কোনো রোগী এলে না দেন গায়ে হাত, না মাপেন ব্লাড প্রেসার! শুধু ওষুধ দিয়ে দেন। এই বিষয়ে ফার্মাসিস্ট অসিত বরণ রানাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'ওতে কিছু হবে না। আমরা নাম লিখে রাখছি।'
কর্তব্যরত নার্স কনিকা সামন্ত বলেন, 'যদি ডাক্তার পাওয়া যায়, তা হলে অকেশনালি ব্লক থেকে পাঠায়।' গড়িয়া স্টেশন এলাকাতে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড আছে। পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ নির্ভর করে এই হাসপাতালের উপর।
এখানে আগে শিশু প্রসব হত। ৬টি বেড ছিল। এখন সব বন্ধ। যে সমস্ত রোগী এখান থেকে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের পরমুহুর্তে যদি কোনওভাবে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে অন্য কোনও ডাক্তারের কাছে যান।
কিন্তু আগের ডাক্তার কী ওষুধ দিয়েছেন? সেটা কিন্তু রোগী বলতে পারবেন না। কারণ কোনও টিকিট বা প্রেসক্রিপশন দেওয়া হচ্ছে না রোগীকে। ভয়াবহ অব্যবস্থার মুখে পড়ে রয়েছে গড়িয়া স্টেশন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন- বাড়ির সামনে বিপজ্জনক বিদ্যুৎ স্তম্ভ? এখনই জানান পুরসভাকে, রেখে দিন এই নম্বর
ডাক্তারের অভাবে শুধু ওষুধ বিতরণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় মানুষরা বিভিন্নভাবে দরবার করেও এই সমস্যার সুরাহা এখনও করতে পারেননি। সবাই অপেক্ষায়, কবে ডাক্তার পাওয়া যাবে!